৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃজন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দেয়া তথ্যানুসারে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২৪৪,৫২৩ জন আর মৃতের সংখ্যা ১০,০৩১ জন। উৎপত্তিস্থল চায়নার মৃত্যুহারকে ছাড়িয়ে এখন সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। ৩,৪০৫ জন এ পর্যন্ত মারা গেছে সেখানে।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কারণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডও ইতালিতে। এ অবস্থায় টুইটারে ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা গেছে ইতালির করোনার এপিসসেন্টার লম্বার্ডির বারগামো শহরে ট্রাকের সারি দাঁড়িয়ে আছে লাশের জন্য, জায়গা না হওয়াতে অন্য শহরগুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই লাশ।
এ ছবি দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ছবিটার সত্যতা নিয়ে। ইতালির অবস্থা ভয়াবহ সবাই জানতে, তাই বলে এত ভয়ংকর কেউ ভাবতেও পারছিলোনা। এ যেন হরর মুভির দৃশ্য, কিছুতেই বাস্তব নয়। হাসপাতালের করিডরে পরে আছে লাশ, প্যাকেট করে রাখা। আত্মীয় স্বজন কেউ ধরতে পারবেনা সেটা। সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে লাশ পুড়িয়ে ফেলার জন্য।
বারাগামোর মেয়র জানিয়েছেন এখানকার শবদাহগুলো দিনরাত চব্বিশঘন্টা কাজ করছে, কিন্তু তারপরও লাশের সংখ্যার সাথে পেরে উঠছেনা। ফলে অন্য শহরগুলোর সাহায্য চেয়েছেন তারা। লাশ পোড়ানোর পরে যে ছাই পাওয়া যাবে সেটা পরিবারের কাছে অবশ্যই ফেরত দেয়া হবে বলে মেয়র জানিয়েছেন।
আর দেশটির সেনাবাহিনী সূত্র নিশ্চিত করেছে ১৫ টি ট্রাকে করে ৫০ জন সৈনিকের দায়িত্বে এ লাশগুলো বারগামোর নিকটবর্তী শহরগুলোতে নিয়ে যাওয়া হবে। এ ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হওয়ার পর ইতলির লোকজন এ ছবিকে বলছে তাদের দেশের করুণতম ছবি। বারগামেরার বাসিন্দা তার বাড়ির পেছনে ট্রাক ভর্তি করা লাশের ছবি নিয়ে যেতে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। সারা পৃথিবীর লোকজনকে সতর্ক হতে, বাসায় থাকতে অনুরোধ করে তারা বলেছে ইতালির পরিণতি যেন আর কোন দেশের না হয়।
ইতালি ফেরত হাজার হাজার মানুষ দেশে ফিরে সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত দেশের ঘোষিত অধিকাংশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো থেকে আগত মানুষের মাধ্যমে। পর্যাপ্ত টেস্ট কিট পাওয়া গেলে দেশের করোনা ভাইরাসের সত্যিকারের চিত্র পাওয়া যাবে।
সূত্র : ভ্রমণগুরু, ওয়ার্ল্ডোমিটার, সিএনএন।
Discussion about this post