সিলেট প্রতিবেদকঃসিলেটের কোম্পানীগঞ্জে স্কুলছাত্রী লিমার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী বখাটে তোফায়েল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে চাটিবহর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাটিবহর গ্রামে আয়োজিত এ মানববন্ধনে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এলাকার মুরব্বি হাজী আবরু মিয়া, হাজী আমির উদ্দিন, সাবেক মেম্বার নুর ইসলাম, নিহত লিমার মা আয়েশা বেগম, হাফিজ মাওলানা ফারুক আহমদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হাজী ছমরু মিয়া, হাজী হাফিজ আলী, হাজী আখরম আলী, হাজী নাজির খা, হাজী কচির খা, আমির খা, আব্দুল্লাহ, ইব্রাহিম আলী মড়ল, তজম্মুল আলী, সাবেক মেম্বার ময়না মিয়া, কিতাব উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, আরশ আলী, ইরফান আলী, গিয়াস উদ্দিন, জয়নুদ্দিন, জুনাব আলী, দুদু মিয়া, আব্দুল হান্নান, আব্দুল মানিক, তেরা মিয়া, হাফিজ হোসাইন আহমদ, হাফিজ আব্দুল গণি, সায়েদ আহমদ, সামসু ইসলাম গেদা, আরশ আলী, বাবুল মিয়া, আব্দুল কাদির, সামসুদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংষ্কৃতিক ও আপামর জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বখাটে তোফায়েল এক বছর থেকে লিমাকে উক্তত করতো। গত ৭ মার্চ সকালে লিমার বাড়িতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসে। অপমান সইতে না পেরে ওই দিন সকাল ১০টার দিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় লিমা। আত্মহত্যার ঘটনায় লিমা বেগমের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে ৮ মার্চ কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেয় থানা পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা নং- ০৯ (১২.০৩.২০২১)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লিমা ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। নৌকাযোগে নিজ বাড়ি থেকে স্কুলে আসা যাওয়া করতেন তিনি। আসা যাওয়ার পথে চাটিবহর টিলাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র তোফায়েল লিমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি লিমা তার মাকে জানায়। পরবর্তীতে লিমার মা আয়েশা বেগম বখাটে তোফায়েলের পিতা-মাতাকে বিষয়টি জানালে বখাটে তোফায়েল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হলে লজ্জায় অপমানে নিজ ঘরে কীনিটনাশক পান করেন লিমা । গত ৭ মার্চ সকাল ১০টায় লিমার বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন বখাটে তোফায়েল।ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পর লিমা মারা যান।
মানববন্ধনে লিমার মা কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার স্বামী ও ছেলে প্রবাসে থাকেন। স্কুলে যাওয়া আসার সময় হেনস্থা করতো তোফায়েল, ঘটনার দিন বাড়িতে এসে অকথ্যভাবে গালিগালাজ করে। লোক লজ্জায় আমার মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার পুরো প্রমাণ থাকলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তিনি অনতিবিলম্বে বখাটে তোফায়েলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান।
এদিকে বখাটে তোফায়েলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কে.এ নজরুল ইসলাম।
Discussion about this post