বিশেষ প্রতিনিধিঃক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় জেলে পাড়া এলাকায় কর্ণফুলী টানেল সংযোগ নির্মাণ কাজ বন্ধ। কর্ণফুলী টানেলের পূর্ব প্রান্তে সংযোগ সড়কে ভূমি অধিগ্রহণের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও বাস্তুচ্যুতদের যথাযথ পুনর্বাসনকল্পে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে কয়েকশত নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।রবিবার আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গত দুই মাস আগে থেকেই আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শনিবার সকালে ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় এলাকাবাসী বৈরাগ বন্দর জেলে পাড়া এলাকায় কর্ণফুলী টানেল সংযোগ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। অন্যান্য এলাকায় কাজ চললেও ঐ এলাকায় এখনো নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় ভূমি অধিগ্রহনের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও বাস্তুচূত্যদের যথাযথ পুনর্বাসনের দাবিতে কোর্ট বিল্ডিং চত্তরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বৈরাগ এলাকাবাসী। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেনকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে আনোয়ারা উপজেলা শহরের বর্ধিত এলাকা হিসেবে পরিণত হতে যাচ্ছে। যার কারণে সমস্ত জমি জমার মূল্য মৌজা দরের ৪/৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমিরমূল্য দেড়গুণ নির্ধারণ করায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের মাঝে ক্ষোভ ও আতংক বিতরণ করছে। স্মারকলিপিতে চারটি দাবি বিবেচনা করার জন্য উত্থাপন করা হয়। দাবি গুলো হচ্ছে সমস্ত অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ সর্বশেষ অধিগ্রহণ বিধিঅনুসারে তিনগুণ প্রদান করতে হবে। অথবা বর্তমানে ভূমির বাজার দর মূল্যায়ন করে মৌজা দর নির্ধারণ করতে হবে। বাস্তুচ্যুতদের পদ্মাসেতু প্রকল্পের আদলে একটি উন্নত ও সমন্বিত পুনর্বাসন করতে হবে। পুনর্বাসনের পূর্বে ক্ষতিগ্রস্তদের বাস্তুচ্যুত করা যাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গের দুর্ভোগ এড়াতে এবং অহেতুক আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারে ভূমির ক্ষতিপূরণের ভার ভূমি অধিদপ্তরকে এবং স্থাপনা সমূহের (বাড়িঘর, কাঠামো, গাছপালাইত্যাদি) ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব সেতু কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত আলী চৌধুরী, সাবেক বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্লোল সেন, সমাজসেবক দুদুল দত্ত, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ রশিদ। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত আলী চৌধুরী জানায়, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য অধিকার ও পুনর্বাসনের বিষয়টি স্মারকলিপির মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।