বিশেষ প্রতিনিধিঃযুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ক্যাসিনো ব্যবসায় সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। রবিবার ৬ অক্টোবর দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক দুইদিনের মধ্যে সম্রাট রাজধানী ত্যাগ করেন।
র্যাব ডিজি বলেন পালানোর জন্য তিনি এমন কৌশল অবলম্বন করেছেন যাতে তাকে সহজে খুঁজে না পাওয়া যায়।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের ঢাকায় আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার জানান, সম্রাটের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তার সহযোগী আরমানকেও ঢাকায় আনা হয়েছে। ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে র্যাব।
তবে কোন থানার কোন মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মোস্তফা সরোয়ার।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যেই তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর গতকাল শনিবার রাত থেকে তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসলেও রোববার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন সম্রাট। কিন্ত পরে আর সম্রাটের খোঁজ মিলছিল না