সাইফুল ইসলাম:খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে আইনশ্খৃলা চরম অবনতি, খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে একের পর এক চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে প্রতিরাতেই উপজেলার কোন না কোন বাড়িতে ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র আইন শৃৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে মানুষ আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেক এলাকায় এলাকার লোকজন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবী সাধারন মানুষের নিরাপত্তায় উপজেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও বিজিবি টহল আরো জোরদার করতে হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোমবার (৫ আগষ্ঠ) পৌরসভার উত্তর গর্জনতলী এলকায় গভীররাতে ওসমান মিস্ত্রীর ঘরের বেড়া কেটে এনজিও থেকে ঋন নেয়া ২৬ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। রোববার (৪ আগস্ট) রাতে রামগড় সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষের তালা ভেঙে দুইটি ল্যাপটপ ও নগদ পাঁচহাজার টাকা , পূর্ব চৌধুরীপাড়া খোকন ড্রাইভারের বাড়ির বেড়া কেটে ঘরের নগদটাকা ও স্বর্নালংকার চুরি হয় এবং গর্জনতলী নিবাসী লক্ষণ দেবনাথের পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া শনিবার (৩ আগস্ট) গভীর রাতে চার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাত দলের হামলায় একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে (২ আগষ্ট) শুক্রবার রামগড়ের মহামুনি থেকে গরু ছিনতায়ের ঘটনায় পুলিশ ৪জনকে আটক করে। সাধারণ মানুষের ধারনা, সমসাময়িক কর্মকান্ডে মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। দলমতের উর্ধে উঠে এখনি এসব অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে হবে অন্যথায় এ অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. হান্নান বলেন, পুলিশি টহল জোরদার করা সহ বিজিবির তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিছু অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে,বাকী অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে । তিনি বলেন, দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।