বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও কেন করা যাবে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। তার সন্দেহ, সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশের পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে চিকিৎসার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন খালেদা জিয়া। আর এরপরই এই প্রশ্ন রাখেন খোকন।
নিজের ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব লিখেন, ‘তারা শুধুমাত্র ইউনাউটেড হাসপাতালেই বেগম জিয়ার চিকিৎস্যা করতে চাচ্ছেন, অন্য কোথাও নয়- এর মানে নিশ্চয়ই এইখানেও জামায়াত-বিএনপির কোনো কূ-মতলব আছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে বন্দী হওয়া খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শোনা যায় ২৮ মার্চ। সে সময় বিএনপি তাদের নেত্রীকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানায়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এতে সম্মতি জানান। বিষয়টি নিয়ে সে সময় রাজনৈতিক অঙ্গণে গুঞ্জন ছড়ায়। পরে বিএনপি তাদের নেত্রীকে বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেডে নেয়ার দাবি জানায়।
গত ১০ জুন খালেদা জিয়াকে আবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনার প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিনি এবার এই হাসপাতালে আনবেন না বলে জানিয়ে দেন। আর দুইদিন পর তকে সিএমএইচে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। আর এটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপি নেত্রী।
খালেদা জিয়ার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান ছিলেন। ফলে খালেদা জিয়ার আজীবন সিএমএইচে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে।
আশরাফুল আলম খোকন লিখেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে না হয় বুঝলাম নামের কারণে ওনাদের সমস্যা কিন্তু সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ( সিএমএইচ) সমস্যা কী। বেগম জিয়াতো সারাজীবন বিদেশে অথবা সিএমএইচেই চিকিৎসা করেছেন। তাহলে এখন সমস্যা কেন?’
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বা সিএমএইচ যে কোনো বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে খোকন লেখেন, ‘চিকিৎসার মানের দিক থেকেও এখনো এই হাসপাতালগুলোকে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল অতিক্রম করতে পারেনি।’
‘বেগম জিয়ার চিকিৎসা ইউনাইটেড হসপিটালেই করতে হবে। বিএনপি নেতারা কিছুদিন ধরে এই চিৎকারই করে যাচ্ছেন। কেন ইউনাইটেড হাসপাতালই হতে হবে অন্য হসপিটালে নয় কেন – এর কোনো যুক্তি তারা দিচ্ছেন না।’
খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ায় তার চিকিৎসা এবং নিরাপত্তার দুইটারই দায়িত্বই সরকারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আরও লেখেন, ‘এখানেই বন্দী কিংবা তার লোকজনদের কোনো ইচ্ছার মূল্য নেই। কারণ, চিকিৎসারত অবস্থায় বন্দীর কোনো প্রকার সমস্যা হলে সবাই সরকারকেই দায়ী করবে। সুতরাং সরকারই ভালো বুঝবে কোথায় নিরাপত্তাসহ চিকিৎসা দেয়া যাবে।
Discussion about this post