মিজানুর রহমান,খুলনা:খুলনার দাকোপ উপজেলা সদর চালনা পৌরসভার আনন্দ নগর সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালযের় প্রধান শিক্ষক সুরাঞ্জন বিশ্বাসের ঘুসিতে পঞ্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাএী দৃষ্টি জোয়াদ্দার (১১)আহত। মুমূর্ষু অবস্থায় দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পঞ্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাএী দৃষ্টি জোয়াদ্দার (১১) এর পিতা কার্তিক জোয়াদ্দার বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার আমার মেয়ে স্কুলে যায়। আনুমানিক ১১টার দিকে স্কুলের ছাএরা আমার বাসায় খবর দেয় আমার মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যাই। যেয়ে দেখি আমার মেয়ে প্রচন্ড ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।
দ্রুত চালনা বাজারে ডাঃ হরিদাশ বাবুর নিকট নিয়ে আসলে সে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়ে দেন। স্বাস্থ্য কমপ্রেক্রে কথা হয় দৃষ্টি জোয়াদ্দার (১১)’র সাথে সে প্রচন্ড ব্যাথা ভরা কন্ঠে বলেন, স্যার আমার নিকট কি যেন চাইলেন আমি বুঝতে না পারায় আমার তল পেটে প্রচন্ড জোড়ে ঘুসি মারে। আমার বাবা-মা স্কুলে যেয়ে আমাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে আসে। মুঠোফোনে কথা হয় বিদ্যালয় ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ অহিদ শেখের সাথে তিনি বলেন, খবর পেয়ে ছুটে যাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং দৃষ্টি জোয়াদ্দারের চিকিৎসার খোজখবর নেই।
এসময় তিনি বলেন, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রধান শিক্ষক সুরাঞ্জন বিশ্বাসের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে কিছু না বলে এড়িয়ে যায়। পঞ্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাএী দৃষ্টি জোয়াদ্দারকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে যান চালনা পৌর মেয়র সহ কাউন্সিলর। এসময় পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস মেধাবী ছাএী দৃষ্টি জোয়াদ্দারের চিকিৎসার খবর নেন। শিক্ষক কতৃক মেধাবী ছাএীর আহতের খবর শুনে ছুটে যান সার্চ মানবাধীকার সোসাইটি।ও তিব্র প্রতিবাদ জানান মানবাধিকার NPS দাকোপ উপজেলা কমিটির সকল সদস্যরা।
এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক কতৃক ছাএীর পেটে ঘুসি কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাায়না। দ্রুত শিক্ষকের শাস্তির দাবী জানান। তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় প্রধান শিক্ষক সুরাঞ্জন বিশ্বাসের শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী সহ বিভিন্ন সংস্থা।