গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর পশ্চিমপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় বৃদ্ধা মা সহ ২ ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে নজমুল ইসলাম নামের একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ফতেহপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত হাজী মো. নঈম উদ্দিনের ছেলে ছয়ফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১জনের নামোল্লেখ করে এবং ৪/৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৮/১১১, তাং- ২০/০৪/২০২১ইং।
আহতরা হলেন, মামলার বাদী ছয়ফুল ইসলাম (৪০), তার মাতা রুশনা বেগম (৫৫) ও ভাই কাতার প্রবাসী নজমুল ইসলাম (৩৮)।
মামলার আসামীরা হলেন, ফতেহপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত ফাতির আলী ছেলে আব্দুশ শহীদ, আব্দুশ শহীদের ছেলে জাকারিয়া, আবুল কালামের ছেলে হাবিব, মানিক মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম, আব্দুশ শহীদের ছেলে ইকবাল, মাহফুজ, মৃত আরকান আলীর ছেলে আবুল কালাম, আসাদ আলী, আসাদ আলীর ছেলে ওহিদুর রহমান, মানিক মিয়ার ছেলে ইসমাইল ওরফে সুফন মিয়া ও রুনু মিয়া।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শহীদ-ইব্রাহীমের নেতৃত্বে উপরোক্ত আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছয়ফুল ইসলামের বাড়ির ভেতরে ঢুকে বেড়া দিয়ে বাড়ী দখলের চেষ্টা করে। এসময় ছয়ফুল ইসলামের ভাই কাতার প্রবাসী নজমুল ইসলাম বাঁধা দিলে আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আসামীরা এক পর্যায়ে ছয়ফুল ইসলাম ও তার বৃদ্ধা মা রুশনা বেগম (৫৫)-কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আসামীরা ছয়ফুল ইসলামের বাড়িতে তান্ডব তালিয়ে বাড়ির দরজা জানালা ভাংচুর এবং গাছপালা কেটে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আহতদের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতদের প্রথমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম. এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন প্রবাসী নজমুল ইসলাম।