৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রামের উন্নয়নে অবহেলা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সিডিএ’র কাজের গতি বাড়াতে হবে। প্রকল্পের ধীর গতি মেনে নেয়া যাবে না। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আরো দ্রুত হতে হবে। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কাজের পরিসর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় কি করবে, সিডিএ কি করবে, সিটি কর্পোরেশন কি করবে সবকিছুই নির্ধারিত। সবাইকে নিজস্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য এক। উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে কোনো রকম অজুহাত দেখানো যাবে না। সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজের সমন্বয় করতে হবে। শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিরাম পরিশ্রম করে চলেছেন। বড় প্রজেক্ট নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করছেন। ক্লান্তি কাকে বলে তা তার ডিকশনারিতে নেই। সবকাজ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে সকলে দায়িত্ব পালন করবেন এটাই সবার প্রতি তার প্রত্যাশা। তিনি চট্টগ্রামকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। চট্টগ্রামের জন্য ঢাকার চেয়েও বেশি ফান্ড বরাদ্দ দিচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাকা কোনো সমস্যা না। তিনি এমন প্রকল্প চান, যা মানুষের উপকারে আসবে পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হবে। তিনি এমন প্রকল্পই অনুমোদন দিচ্ছেন।’ চট্টগ্রামের উন্নয়ন দেখে আমি খুশি হয়েছি। চট্টগ্রামের মানুষ অনেক পরিশ্রমী এবং এটি আরো কাছ থেকে দেখতে চাই। আগামীতে নগর ও গ্রামের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। স্বামী হত্যার বিচার করেননি খালেদা জিয়া এ সমালোচনা করে রেজাউল করিম বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান হত্যার পরে একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলার চার্জশিটে আসামি খুঁজে পায়নি পুলিশ। কিন্তু সেটি গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া। পক্ষান্তরে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিট নারাজি দিয়েছি এবং বিচার করেছি। প্রধানমন্ত্রী সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন এ কথা উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যন আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য মহাপরিকল্পনা করেছি এবং চট্টগ্রামকে যানজটমুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতনও হতে হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ৫৭টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি খাল খননের পরিকল্পনা করেছি। ১১ খালের কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সব খাল খনন করা হবে। আগামীতে আমরা আরো সফলতা পাব। সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল হক আমিন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সিডিএ বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন, এম আর আজিম, কেবিএম শাহজাহান, আশিক ইমরান প্রমুখ।