বিশেষ প্রতিনিধিঃলোহাগাড়া চট্টগ্রাম হতে, ২৩/০২/২০১৮ইং,শনিবার, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক যুগান্তরের লোহাগাড়া প্রতিনিধি ও লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে ইউএনও আবু আসলাম নিজেই পুলিশ নিয়ে শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাংবাদিক সেলিমের উপজেলার সদর ইউনিয়নের রশিদার পাড়ায় বাড়ীতে গিয়ে পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সাংবাদিক সেলিম এর স্ত্রী র্মূশিদা বেগম জানান, গ্রেফতার করার সময় ইউএনও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন-এরেস্ট করো,এ ব্যাপারে ইউএনও আবু আসলামের কাছে জানতে চাইলে,পুলিশের সাথে আপনি কেন সাংবাদিকের বাড়ীতে গেলেন তিনি বলেন, পুলিশ আসামী ধরার জন্য অভিযানে গেছে আমিও সেদিকে যাচ্ছিলাম। তাই যাওয়া। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, সাংবাদিক সেলিমের সাথে আমার ব্যাক্তিগত বিরোধ নেই। এদিকে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের একটি মামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিলো। সেই পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম বলেন, রাত আটটার দিকে হঠাৎ পুলিশ নিয়ে বাসায় আসেন লোহাগাড়ার ইউএনও আবু আসলাম বাসায় ঢুকে সরাসরি তিনি বেড রুমে চলে যান। ওই মুহুর্তে সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন বসে বসে ল্যাপটপে নিউজ লিখছেলেন। সেখানে গিয়েই ইউএনও হুংকার ছেড়ে বলতে থাকেন ‘ এরেস্ট করো,। এরপর পুলিশ তাকে হাতকড়া লাগিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায়। কোনো ধরনের কথা বলার সুযোগ দেয়নি, কি অপরাধের জন্য এভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে তাও কিছু জানতে দেয়নি। মুর্শিদা বেগম বলেন গত ক’দিন আগে পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলার মামলা চলাবস্থায় একটি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যান ইউএনও। সেই বিষয়ে যুগান্তরে নিউজ করেছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এছাড়া গৃহায়ন প্রকল্পে ১৬৪ টি ঘরে অর্ধকোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এ ইউএনওর বিরুদ্ধে। গৃহায়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ঘরে সরকার ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও ইউএনও ঘরপ্রতি ৬০ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার খরচ করে বাকী টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। এ সব বিষয়ে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার স্বামী তার (ইউএনও) রোষানলে পড়েন।এলাকাবাসি জানান দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় (ইউএনও)’র রোষানলে পড়েছেন সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন ।
Discussion about this post