৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃআসন্ন্ একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে মাঠ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় এবং আইন শৃংখলা বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশন(সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সভাপতির বক্তব্যে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন প্রশাসনের সকল সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ ও নিরেপক্ষ বজায় নির্বাচন উপহার দিতে দৃঢ় আহবান করেন।
তিনি সূচনা বক্তব্যে আরো বলেন,সারাদেশে কিছু বিচ্ছিন্ন অঘটন ছাড়া মোটামোটি সমানভাবে প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছেন। আর যারা লেভেল প্লেয়িং সম্পর্কে যে অভিযোগ করেন তারা শুধুই অবান্তর। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ভোটের আলাদা বৈশিষ্ট্য-আমেজ,উৎসব বজায় রাখতে সকল স্তরের আইন-শৃংলাবাহিনী কড়া সর্তক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের অনরোধ জানান। আগামী ২৪ ডিসেম্ব্¦র থেকে দেশব্যাপি আর্মি ফোর্স(সেনাবাহিনী),বর্ডারগার্ড(বিজিবি) মাঠে নামছেন বলে ওঅবগত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিইসি আরো বলেন,খেলার মাঠে যেমন দুটি পক্ষ থাকে তেমনি নির্বাচনের মাঠে দুটি পক্ষ থাকে। একটি পক্ষ বা দল জিতবে আর অন্যপক্ষ হারবে। এই হার জিতে নিয়ে অতীতের মতো আর কোন নির্বাচনী সহিংসতা চাই না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায়ে মতবিনিময় সভার শেষ বক্তব্যে সিইসি হুদা আরো বলেন,এবারের ভোটে তিন হাজারের উপরে প্রার্থী মনোয়ন জমা দেওয়ায় প্রমান করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফ্লিøড আছে কিনা..? যা রেকর্ড পরিমান প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছ্।ইভিএম ভোটের প্রতি মানুষের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতির জন্য গনসচেতনতা সৃষ্টির সু-স্পষ্ট তাগিদ দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন বলেন,অনেক বৈশিষ্ট মন্ডলী পরিবেশে নিয়ে এবারের ১১তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্টানে চট্টগ্রামের বিভাগে ৫৮টি আসন (মেট্টোর৩টি সহ) একটি উৎসব আর আমেজের ভোট উৎসব উপহার দিতে সিইসি বদ্ধপরিকর। এই যাত্রাই আমরা সর্বমহলের সার্বিক সহায়তা এবং গ্রহন যোগ্য কর্মকান্ড কামনা করছি।
সিইসি সচিব হেলাল উদ্দিন বলেন,চট্টগ্রামের সকল রোডে এখন থেকেই কক্সবাজারগামী (প্রায় ১০লক্ষ) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সীল করে পাহাড়ে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের চলাচলে বিধিনিষেদ জারির নির্দেশ দেন। সকল প্রার্থীদের সাথে২-১দিনের মধ্যে মতবিনিময় করার জোর তাগিদ দেন। সিইসি সচিব, সকল রিটানিং অফিসার ও প্রিজাইটিং অফিসারদেও কে প্রার্থীদের সাথে নন-পলিটিকেল আচরণ সহ সমান সুযোগ ব্যবহার করতে ও বলেন।আর বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ২-৩দিনের মধ্যেই নিকটস্থ থানা-পুলিশ কন্ট্রোল অফিসে জমা নেওয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলা-গ্রাম পর্যায়ের ভোট কেন্দ্র এলাকাতে গ্রাম পুলিশ-আনসার ব্যাটিলিয়নদের আইনী-সহায়তা কাজে সুষ্টভাবে ব্যবহারের কথাও জানিয়েছেন। এছাড়া পুলিশ কে সর্বদা নিরেপক্ষ আচরণ সহ্ নির্বাচনী সহিংসতার খবর পাওয়া মাত্রই তা প্রতিরোধ করতে দৃঢ় ভাবে নিদের্শ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াছ হোসেন বলেন,সিইসির নিদের্শ মোতাবেক চট্টগ্রামের ১৬আসনে বেশকয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তাদেও প্রশিক্ষন দিয়ে নির্বাচনী কাজে মনিটরিং সহ স্বচ্ছ-সুন্দর একটি নির্বাচন জাতীকে উপহার দিতে মাঠে স্বচেষ্ট আছেন।২-১ অভিযোগ ছাড়া কোন অপ্রীতিকর ঘটনা জেলা ঘটেনি বলে জানান। তবে চট্টগ্রামের উপজেলা ফটিকছড়ি ও স্বন্দীপে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহ আইন-শংৃখলা বাহিনীকে আরো তৎপর থাকার জন্য অনুরোধ করেন।
নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশান সেন্টারে ১৮ডিসেম্বর দুপুর ২.৪৫মিনিট শুরু হয়ে প্রায় ২-৩ঘন্টা ব্যাপি চলা সভাতে বিভিন্ন স্তরের ২৪জন উচ্চ প্রশাসনীয় কর্মকর্তা ২-৩মিনিট করে নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকতা-হাসানুজ্জামান ,জেলা নির্বাচন কর্মকতা-মুনীর হোসাইন খান, কুমিল্লার জোন কমান্ডার-লে;কর্নেল মোঃ সিকদার ২৪পদাধিকা ডিভিশানল কর্মকত-এম.শামসুজ্জামান,জোনাল কোস্টগার্ড প্রধান -মোঃ ওয়াসিম,মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার-মাহাবুবুর রহমান,ডিজিএফএ’র –এম.বশির,বিজিবি সেক্টর কমান্ডার,বিভাগীয় রেন্জ পুলিশ সুপার গোলাম ফারুখ ,নোয়াখালী জেলার প্রশাসক-তন্ময়,পুলিশের এসপি কক্সবাজার-মাসুদ হোসেন,পুলিশ সুপার কুমিল্লা-সৈয়দ নুরুল ইসলাম,আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক-শামসুল আলম,র্যাব-৭অধিনায়ক- মিফতাহনুর,জেলা আনসাার কমান্ডার-রাজীব হোসেন,লক্ষীপুর জেলা সদর নির্বাহী অফিসার-শাহাজাহান আলী,বি:বাড়ীয়ার নির্বাহি অফিসার –জান্নাতুল ফেরদৌস,ফেনী সদর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ এবং মহানগরের সকল থানার ওসি’র পক্ষে মোঃমহসিন বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post