বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চন্দ্রনগর কিষোয়ান ফ্যাক্টরির পেছনের গ্রীন ভিউ আবাসিক এলাকার নাগিনী পাহাড় কাটার দায়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার (১ জুন) অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক শুনানির মাধ্যমে পাহাড় কাটার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাকে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযুক্ত রিতেন কুমার সাহা পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি নগরের টেক্সটাইল মোড়ের মুরগীরফার্ম এলাকার শাহ আমানত ভিলার মৃত রঞ্জিত কুমার সাহার সন্তান। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার নানুয়ার বাজার এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা রিতেন কুমার সাহা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তার দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানায় দায়িত্ব পালনকালে অপরাধীদের ত্রাস ছিলেন। সে কারণে বায়েজিদ এলাকায় অপরাধকর্ম করতে না পারা কোনো একটি গ্রুপের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি জরিমার কবলে পড়েছেন। তিনি এখান থেকে প্রতিকার চান। যার জন্য অধিদপ্তরের কাছে আপীল করবেন বলেও জানান রিতেন সাহা।
রিতেন কুমার সাহা জানান, তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠলে সম্প্রতি সেটি তদন্তে একটি কমিটি করা হয়। কমিটির প্রধান বায়েজিদ জোনের এসি পরিত্রান তালুকদার এ বিষয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টটি গত ২৫ জুন উপস্থাপন করা হলেও সেটি বিবেচনায় নেইনি অধিদপ্তর।
গত ১০ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে পুলিশ কর্মকর্তা রিতেন কুমার সাহার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। রিতেন কুমার সাহা পরিবেশ আইন অমান্য করে উক্ত নাগিনী পাহাড়ের পূর্ব পাশের পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজার অন্তর্গত পাহাড়ের ৬ শত ঘনফুট পাহাড় কেটেছেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৭ ধারা মোতাবেক রিতেন কুমার সাহার উপস্থিতিতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকার উক্ত জরিমানা পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী জানান,পাহাড় কাটার দায়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের এক কর্মকর্তাকে শুনানির মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কর্তনকৃত পাহাড় পূর্বের অবস্থায় ফেরত আনাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা অনুমতি ছাড়া জমিতে কর্তন ও বহুতল ভবন নির্মাণ অথবা যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু বা পরিচালনা না করতে নির্দেশ দেয়া হয়।