চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার দুই এসআই ও এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হল-কোতোয়ালী থানার অধিনে সিআরবি পুলিশ ফাাঁড়ির আইসি এসআই গোলাম ফারুক ভুঁইয়া ও এএসআই ফয়সাল মুরাদ।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহামদ মহসীন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসনিক কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, নগরীর স্টেশন রোডে অবস্থিত পর্যটন কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রিত মোটেল সৈকতে পর্যটন কর্পোরেশনের যথাযথ নিয়মকানুন মেনে এবং সরকারী বিধি বিধান অনুসরণ করে দুটি স্পৃা পার্লার চলে আসছে।
কোতোয়ালী পুলিশ সেখান থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিলেও হঠাৎ করে গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় কোতোয়ালী পুলিশ স্পৃা পার্লার দুটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৪ তরুণী ও ৮ যুবককে ধরে নিয়ে যায়।
এ্যারোমা থাই র্স্পা পার্লারের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর জানান, অভিযানের সময় পুলিশের দুই সদস্য এসআই গোলাম ফারুক ভুঁইয়া ও এএসআই ফয়সাল মুরাদ র্স্পা পার্লার দুইটির মালিকের কাছে একলাখ টাকা দাবী অন্যথায় ওসি মহসীনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বলে দাবী করেন তিনি।
এদিকে র্স্পা পালার থেকে ১৮ নারী পুরুষকে আটক করা হলেও পরদিন সকালে তাদের সিএমপির এ্যাক্ট ৭৬ ধারায় আদালতে চালান করলে তারা ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে জামিন পেয়ে যায়। এ ছাড়া পুলিশ মামলায় র্স্পা পার্লার থেকে আটকের বিষয়টি উল্লেখ না করে স্টেশন রোড় এলাকায় অভিযান চালানো হয় বলে উল্লেখ্য করা হয়।
টাকা লেনদেন এবং ওসির সাথে যোগাযোগের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব বিষয় অস্কিকার করেন ওসি মহসীন। তিনি বলেন, টাকা লেনদেনের কোন বিষয় আমার জানা নেই। অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়েই আমরা অভিযান চালিয়েছি।
এ অভিযান নিয়ে পুলিশের মধ্যে তোলপাড় চলে এবং পুলিশের সাথে আর্থিক লেনদেনের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পুলিশের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হাতে পৌছে।
এতে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে পুলিশ প্রশাসন। পরে এসআই গোলাম ফারুক ভুঁইয়া ও এএসআই ফয়সাল মুরাদকে শাস্তিমূলক প্রত্যাহার করা হয়।
Discussion about this post