জনতার কলামঃ নিমতলার জঙ্গি বিমান চত্বর সরে গেল ট্রাফিক পুলিশ বক্স এবার দখল ভাসমান দোকানে ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড পোর্ট কানেক্টিং রোডের মুখে নিমতলার যুদ্ধ বিমান চত্বর থেকে পুলিশ বক্সটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিমান চত্বর এবার ছেয়ে গেছে ভাসমান দোকানে। আর জঙ্গি বিমানটির সারা গায়ে ময়লা, রক্ষণাবেক্ষণের কেউ যেন নেই। কোন রকম বাছ-বিচার না করে বিমানটির সামনে ফুটপাতজুড়ে স্থাপন করা হয়েছিল যানবাহন পুলিশ বক্স। তাতে ঢেকে যায় বিমানটি। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে দৈনিক পূর্বকোণে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরপরই পুলিশ বক্সটি সেখান থেকে উপড়ে নিয়ে পাশে ফেলে রাখা হয়। তাতে বিমানটি উন্মুক্ত হয়। কিন্তু সেই খালি চত্বর আর খালি নেই। সেখানে বসে গেছে ভাসমান দোকান। লোহার গ্রিলের চতুর্দিকে দোকানে ছেয়ে আছে। এখন এসব দোকানের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের বিমানটি দেখার সুযোগ। অপরদিকে, সৌন্দর্য্যহানিরও কারণ হয়েছে। অবশ্য সৌন্দর্য্য দেখারও উপায় নেই। ময়লায় ঢাকা পড়ে আছে জঙ্গি বিমানটি। কারও যেন দায়িত্ব নেই এটা নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখার। অযত্ন -অবহেলার ছাপ সবখানে। স্থানীয়রা জানালেন, কয়েক বছর আগেও সিটি কর্পোরেশন বিমান স্থাপনাটি নিয়মিত পরিচর্যা করতো। কিছুদিন পরপর দেয়া হতো রং। পরিচ্ছন্ন রাখা হতো। কিন্তু কর্পোরেশনের কেউ আর এর কোন খোঁজ নেয় না। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চরম অযত-অবহেলায় পড়ে আছে বিমান স্থাপনাটি। শেষবার কখন পরিষ্কার করা হয়েছে তা স্থানীয় কারও মনে নেই। বিমানের বিভিন্ন অংশে জং ধরে গেছে। পাশের খালি জায়গা জবরদখল করে সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগ অফিস খোলে। তাদের পাশে অফিস স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম হকার্স লীগ নিমতলা ইউনিট। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। নগরীর সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য গোসাইলডাঙ্গার নিমতলা মোড়ে এরই একটি স্থাপন করে সিটি কর্পোরেশন। পাথরের স্তম্ভের ওপর যুদ্ধ বিমানটি স্থাপন করা হয়। এর চতুর্দিক লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা দেয়া হয়। এখানে রাজনৈতিক দল এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো সভা-সমাবেশ করে। স্থানটির নাম নতুন পরিচিতি পায় বিমান চত্বর হিসেবে। পথচলতি মানুষ এক সময়ে সেদিক দিয়ে যেতে থমকে দাঁড়াতো, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতো জঙ্গি বিমানটি। চীনের তৈরি ৮,৭৭০ কেজি ওজনের এফ-৬ মডেলের বিমানটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারতো।