ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তি, উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা সহ ৪টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছে চট্টগ্রাম চেম্বার।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার কার্যালয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগে সহযোগিতার লক্ষ্যে ১ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ৪টি মূল বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বেসরকারি খাতের আরও বেশি অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উন্নয়ন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সৃষ্ট যেকোন ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তিতে চট্টগ্রাম চেম্বার এবং সিআইআই’র যৌথ উদ্যোগে একটি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কেন্দ্র স্থাপন করা, ব্যবস্থাপনাগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ‘নলেজ কোঅপারেশন’ এবং সম্মিলিত উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা। এ বিষয়গুলোতে জোর দিলে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিবেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগে সহযোগিতার লক্ষ্যে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিবেশে উন্নয়ন করা সম্ভব। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভিসা সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ বলেন, বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলী টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্র বন্দরসহ চট্টগ্রামে চলমান অবকাঠামো উন্নয়নের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে ভারত।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ভিশন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম থেকে উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার সড়ক পথের উন্নয়ন, রেলওয়ে যোগাযোগ এবং নৌ-পথের যোগাযোগের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলী হুসেইন বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে হবে। সাফটা সার্টিফিকেশন ডিজিটালাইজ করা, বাংলাদেশি পণ্যের উপর এন্ট্রি ড্রাম্পিং ট্যারিফ প্রত্যাহার করা, বিএসটিআই সনদের স্বীকৃতি প্রদান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের বাংলাদেশি পণ্যের ব্যবহার এবং মেডিকেল ও ট্রানজিট ভিসা সহজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ ও মো. শাহরিয়ার জাহান,চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চেম্বার সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক, রিলায়েন্স শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ, শান ট্রেডিং কর্পোরেশন’র পরিচালক মো. হাসান, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সৈয়দ মোহাম্মদ নাসিম, আরামিট লিমিটেডের ডিজিএম (সিমেন্ট) এ.কে.এম. মারুফ, ম্যানগো লাইন লিঃ’র ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম।
Discussion about this post