বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম নগরীতে আবারও বেড়ে গেছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ব। নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী,নিউ মার্কেট মোড়, মুরাদপুর, ষোলশহর ২নং গেইট, জিওসি মোড়, ওয়াসার মোড়, দেওয়ানহাট মোড় সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তারা সক্রিয়। তারা বকাটে ও ভাসমান, অস্থিত্ব ও পরিচয়হীন ভাবে চলাফেরা করে। অনেকেই নেশাখোর এবং নেশার টাকা যোগার করতে গিয়ে ছিনতাই ও চুরির মতো অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে এসব ছিনতাইকারীরা। সার্কেট ক্যামেরা এবং প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে ছিনতাইকারীরা তাদের এ অপকর্ম কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছে সাধারণ জনমনে্র মনে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত অন্ধকার নেমে আসলেই ছিনতাইকারীরা পথযাত্রীদের হাতে থাকা জিনিসপত্র ছিনতাই করার জন্য বিভিন্ন স্পটে চলে যায়। তারা চলাচলরত পথ যাত্রীদের থেকে যখন যাহা পায় যেমন-মোবাইল, মানিব্যাগ, ক্যামেরা, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ইত্যাদি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাদের কারণে অনেক পথযাত্রীকে নিশ্ব হয়ে রাস্তায় বসে কাঁদতে দেখা যায়। পথযাত্রীরা টাকা, মোবাইল হারিয়ে বাড়ী ফিরে যাওয়ার উপান্তরও খুঁজে পায় না। তেমনি এক পথযাত্রী ইফতেখারুল করিম চৌধুরী গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বহর্দ্দাহাট থেকে মুরাদপুর আসলে বাস থেকে নেমে বাস হেলপারকে ভাড়া দেওয়ার জন্য তার কাধে ঝুলানো থাকা ব্যাগটি হাতে নিতেই এক ছিনতাইকারী এসে সম্পূর্ণ ব্যাগটি নিয়ে দৌড় দেয়। জানাযায় ভুক্তভোগী ইফতেখারুল করিম চৌধুরী ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি। মুহুর্তের মধ্যে সে পথের ফকিরের মত হাউমাউ করে দৌড়ে ছিনতাইকারীর পিছু নিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। তার ব্যাগে থাকা মোবাইল, ক্যামেরা ও পাঁচ হাজার টাকা আর ফিরে পায়নি। এ রকম অহরহ ঘটনা বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারী দ্বারা ঘটছে। তা দু’একটি ঘটনায় অনুমান করা যায়। ভুক্তভোগী ইফতেখারুল করিম চৌধুরী ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানায় এঘটনার একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে, যার নং-১৯৭৭ তাং ২৮/০১/২০১৯ইং।চট্টগ্রাম নগরীতে যে সব এলাকায় চলাচলে সতর্ক থাকবেন
* খুলশি এমইএস কলেজ কবরস্থান এলাকা থেকে খুলশি রেলগেইট পর্যন্ত,
* লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত,
* গণিবেকারী মোড় থেকে চট্টগ্রাম কলেজ, দেবপাহাড়, প্যারেড কর্ণার পর্যন্ত,
* জামাল খান মোড় থেকে গণি বেকারী মোড়,
* গণি বেকারী থেকে গুডস হীল।
Discussion about this post