মফিজ সিকদার : ১ জুন শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে লুপের একাংশ চালু করে ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।এ লুপের মাধ্যমে ২ নম্বর গেইট এলাকার দীর্ঘদিনের যানযটের বিড়ম্বনা অনেকাংশে মুক্তি পাবে। যদিও লুপের একপাশ দিয়ে নগরের বায়েজিদ ভারী শিল্প এলাকা দিয়ে আসা যানবাহনগুলো আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠতে পারবে। এ লুপের আরেক পাশ ঈদের আগেই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিডিএ।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘ষোলশহরের ২ নম্বর গেট এলাকার দীর্ঘদিনের যানজটের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে লুপ খুলে দেওয়া হইছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছয় দশমিক ০২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে লুপের একপাশ চালু করে দেওয়া হয়। ঈদের আগেই আরেক পাশ খুলে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন বায়েজিদ থেকে আসা হাজারো যানবাহনকে ২ নম্বর গেইট এলাকায় আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়তে হবে না।’
সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জিইসি ও ২ নম্বর গেইটে নির্মাণাধীন ছয়টি র্যাম্প ও লুপের নির্মাণকাজ শেষ হলে ওই এলাকার যানজট পুরোপুরি হ্রাস পাবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে যান চলাচলে আরও গতিশীলতা বাড়বে।‘জিইসি ও ২ নম্বর গেইটে নির্মাণাধীন ছয়টি র্যাম্প ও লুপের নির্মাণকাজ শেষ হলে ওই এলাকার যানজট পুরোপুরি হ্রাস পাবে।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, ৫ দশমিক ০২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫৪ ফুট প্রস্থের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। ফ্লাইওভারের মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৬৯৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ফ্লাইওভারটির মূল অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা এবং র্যাম্প ও লুপ নির্মাণ কাজে ২৪৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত। পরবর্তীতে র্যাম্প ও লুপ নির্মাণে বরাদ্দ বাড়ানো হয়।