৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃচট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আবাসিক প্রকল্প নগরীর বাকলিয়ার কল্পলোকে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন প্রথম মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মডেল মসজিদটি ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে এপ্রিল ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পে ৬৪টি জেলা সদর, ৫টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৪৯১টি (১৬টি উপকূলীয় উপজেলাসহ) উপজেলা সদরে মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, সিডিএর কল্পলোক আবাসিক প্রকল্পে এই প্রথম নগরীতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক বহির্প্রকাশ এটি। এ মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সে লাইব্রেরি, গবেষণা কক্ষ, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শিশু শিক্ষা কার্যক্রম এবং পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক নামাজ কক্ষ, মেহমানদের আবাসন ব্যবস্থা, বিদেশি পর্যটকদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে।
জানা যায়, বর্তমান সরকারের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই আলোকে ২০১৫ সালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরবর্তীতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬০টি ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীষক প্রকল্প হাতে নেয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এরই অংশ হিসেবে বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক প্রকল্পে এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। যেটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
আবদুচ ছালাম আরও বলেন, প্রকল্পের অধীনে কল্পলোক আবাসিকে এ মডেল মসজিদটি নির্মিত হবে। চারতলা বিশিষ্ট মসজিদে হজযাত্রী ও ইমাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছাড়াও থাকবে মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা। আধুনিক কারুকাজে নির্মিত এ মসজিদটি হবে ধর্মীয় কার্যাদীর পীঠস্থান। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে একসাথে ১২৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। যেটি বর্তমান সরকারের বড় অর্জন।
Discussion about this post