মায়ের কোলে দুধের শিশু। কেউ অশীতিপর বৃদ্ধ। শিশু-কিশোর, তরুণরাও আছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা থেকে ২৫টি পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছিলেন মানববন্ধন করতে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) বিকেলের চিত্র এটি।
মানববন্ধনে অংশ নেন রুমা আকতার, বিলকিস বেগম, আবদুস শুক্কুর, আবু বকর সিদ্দিক, মো. রিমন প্রমুখ।
তারা জানান, সোমবার (২৫ জুন) চন্দ্রঘোনায় ৯০ বছরের বেশি সময় ধরে ভোগ দখলীয় খতিয়ানভুক্ত দালিলিক জায়গার বসতি ও দোকান থেকে স্থানীয় কাঞ্চন বাহিনীর নেতৃত্বে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে কাঞ্চন চৌধুরী, মুরাদ ও মোবারকের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী এসকেভেটার দিয়ে ৩০টি বাড়ি ও ২৫টি দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় তারা নারী-শিশু, বৃদ্ধদের টেনে-হেঁচড়ে বের করে দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে। লুট করে ভেঙে দেওয়া বাড়িঘর ও দোকানের আসবাবও।
বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে গৃহহীন, বস্ত্রহীন অবস্থায় মৃত্যুর ভয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, কাঞ্চন বাহিনী জায়গা দখল করছে এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তবে মুরাদ ও মোবারক আলাদা লোক। রাউজানের মোবারক দাবি করেছে এটি তার জায়গা। ওই জায়গায় তিনি কাজ করেছে। কিছুসংখ্যক লোক দাবি করেছে এটি তাদের জায়গা। তবে মোবারক চৌধুরী দাবি করেছেন এটি তার জায়গা। সেটি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে বলে আমি মনে করছি।