৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃসরকারের রপকল্প-২০২১ সামনে রেখে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে ব্যবহারকারী বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (বন্দর দিবস) উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ‘প্রচার মাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, খোলা পণ্য (কার্গো), কনটেইনার ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি সামাল দেওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রপকল্প সামনে রেখে স্ট্র্যাটেজিক মাস্টারপ্ল্যানের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, সরকারের দিকনির্দেশনায় নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ৯টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৪টি স্ট্র্যাডেল কেরিয়ার, ৫টি কনটেইনার মুভার, ১টি রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহ করে বন্দরের ইক্যুইপমেন্ট ফ্লিটে সংযুক্ত করেছি। ৩টি স্ট্র্যাডেল কেরিয়ার শিপমেন্ট করা হয়েছে, শিগগির বন্দরে পৌঁছবে।
তিনি জানান, ৬টি শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন, ২টি আরটিজি, ১টি মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। ৪টি শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহের দরপত্র মূল্যায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ৬টি আরটিজির এলসি খোলা প্রক্রিয়াধীন ও ৩টি আরটিজির দরপত্র মূল্যায়নাধীন আছে। ৩টি স্ট্র্যাডেল কেরিয়ার সংগ্রহের জন্য শিগগির চুক্তি সম্পাদন হবে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া সরকার ১৮৮৭ সালে পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করে যা ২৫ এপ্রিল ১৮৮৮ সালে কার্যকর হয়। তখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। তাই প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস উদযাপন করে আসছে।
এবার বন্দর দিবসে অবসর নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সভায় বন্দরের সদস্য কমডোর শাহিন রহমান, ক্যাপ্টেন খন্দকার আকতার হোসেন ও কামরুল আমিন, বন্দর সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post