৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃ হাঁটু পানি, ঢেউও উঠছে তাতে। নোংরা ওই পানি থেকে চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ চিত্র চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র চমেকের। সেই পানি মাড়িয়েই রোগী ও তাদের স্বজনদের করতে হচ্ছে চলাফেরা। মাঝে মাঝে আটকা পড়ছে সিএনজি অটোরিকশাসহ নানা যানবাহন।
হঠাৎ দেখে যে কারো মনে হতে পারে বর্ষায় আবারো ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর। না কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। এটি অপরিকল্পিত উন্নয়নের আরো একটি উদাহারণ মাত্র।
রাস্তা উঁচু করার জন্য ফেলা ইট আর বালিতেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করায় বন্ধ হয়ে গেছে পাশের ড্রেনের মুখও। তাই গেটের নিচু অংশে পানি জমে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। চমেকের পূর্ব গেটের অবস্থাও কাদায় মাখামাখি।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রধান ফটকে জমে আছে হাঁটু পানি। নোংরা ওই পানি থেকে চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেই পানি মাড়িয়েই রোগী ও তাদের স্বজনদের করতে হচ্ছে চলাফেরা।
মাঝে মাঝে আটকা পড়ছে সিএনজি অটোরিকশাসহ নানা যানবাহন। হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজন ছাড়াও চমেকের শিক্ষার্থীদেরও বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে এই নোংরা পানি মাড়াতে গিয়ে।
কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক মারিয়া মনসুর বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে এই ফটকে পানি জমে বিচ্ছিরি একটা অবস্থা। পাশের গেটেও তালা। তাই বাধ্য হয়ে নোংরা পানি মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে’
সন্দ্বীপ থেকে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মিজান। টেম্পো থেকে নেমে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কীভাবে হাসপাতালে প্রবেশ করবেন বুঝতে পারছেন না। বৃদ্ধা মাকে কীভাবে এই পানি দিয়ে নিয়ে যাবেন তা ভাবছেন। শেষমেষ আবারও রিকশায় উঠে চমেকের পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করেন তিনি। সামনে