কবি ও সাংবাদিক-মুহাম্মদ আবু নাঈম
এসো হে বসন্ত প্রকৃতির নব অনন্ত ব্যাকুলতায়,
পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিন বাতাস বহে যায়।
শীতের ঠান্ডা অনুলিপি হৃাস পেয়ে গুপি,
চুপি চুপি কি গরম কি শীতল বায়ু জনমনে চুপি চুপি।
ওগো বসন্ত আগমনে আবাহাওয়ার বৃন্দাবনে মনোরম পরিবেশ,
দুর গগনে আখিতে মেঘ কন্যা ডাক দিয়েছে মেঘ রাজ্যতে
হালকা হালকা রূপে বিরাজ করে পালন আদেশ ।
বসন্ত তোমার কি দিব বর্ণনা কি চমৎকার প্রকৃতি,
বৃক্ষ সমাজ এক হয়ে রাজ গড়েছে প্রভৃতিতে।
কাননে বনে তরুলতা হরেক রকম ফুলে সুবাস ভরা,
শিমুল পলাস কৃষ্ণচূড়া সৌন্দয্যের মহনায় পেরা।
কি যে লিলা অঃন্তরালে মালিক(আল্লাহ)
আমের মুকুলে ভরিয়ে দিয়েছে মালিক(আল্লাহ)
মৌমাছি মৌ মৌ করে মধু আহরনে,
মুকুলের গহিনে কোকিল ডাকে কুহু কুহু ডাক শুনে কর্ণে মনে হয় উঠে চঞ্চল শরীর শিহরন।
পাখিরা ডালে ডালে কি মধুর কিচির মিচির তাদের মনমুগ্ধময় ধ্বনি,
আনন্দের বান ডেকেছে নতুন রূপালী রাজ্যের অবনী।
ময়না পায়রা টিয়া পাখি সর্ব পরিবার,
সংসার জুট বেধে বাসায় পারিয়াছে ডিম অনিবার।
পাখির ছানা ডিম ফেটে বের হয়ে করছে কিচিমিচি
এতদিন ছিল সে অন্য রাজ্যে চোখ মিলিয়া দেখছে সূর্যের আলো অন্য জগতে এসেছে
শুরু হয়েছে তার নতুন কর্মসূচি।
শস্য মাঠে সবুজের রংধনু সরিষার ফুল করেছে ব্যাকুল,
কৃষক মুখে দৃশ্য উপভোগ করিয়া হারিয়ে গেছে অপ্রতুল।
পূর্ব পশ্চিম বঙ্গে হে বসন্ত তোমাকে বলা হয় ঋতু রাজ,
তোমাতে বাসন্তী দোলযাত্রা প্রভৃতি মহাসমারহে আয়োজনে মত্ত সকল সমাজ।
দুঃখের পরিহাস একটি বার্তা বহে চয়নে,
কলেরা বসন্ত ব্যাধি প্রভৃতির আবির্ভাব তোমার আগমনে।
আস্তে আস্তে সন্ধি ক্ষন বসন্তের মধ্য পথে,
পরিবেশ প্রকৃতির মোড় চাই নিতে নিজ মতে।
হে বসন্ত তোমাতেই দিবস জামিনি দীর্ঘ রূপ প্রহর
রজনী নিশি কম সময়ে চলমান প্রহর ।