বিশেষ প্রতিবেদকঃটানা চারবারে ১৫ দিনের রিমান্ডেও তদন্ত কাজে সহায়ক হয় এমন তথ্য দেয়নি সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশি রিমান্ড চাওয়ারও সুযোগ নেই। তাই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালত থেকে প্রদীপকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থ দফায় ১ দিনের রিমান্ড শেষে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তামান্না ফারাহ আর কোন জবানবন্দি বা রিমান্ড দেননি। তাই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বরাবরই আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামী ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেফতার করে এলিট ফোর্সটি।
একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুইটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়। মামলায় মোট আসামীর সংখ্যা ১৩ জন। সিনহা খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে।