যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরে তাদের বাড়ি ‘গুডস হিলে’ হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। এই হামলার জন্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করলেও বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। হামলার পরিকল্পনাকারী তিনি নিজেই।
জানা যায়, ২৯ মে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা সদরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। ২৭ মে রাতে চট্টগ্রাম বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২৯ মে ইফতার মাহফিলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করবেন। এই সুবাদে ছাত্রলীগের নামধারী একটি গ্রুপ ৩০ তারিখ রাতে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালাবে।
২৭ মে রাতের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতার দেহরক্ষীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এসব তথ্য জানা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, নেতা বৈঠকে বসার পর আমি পাশের ঘরে অপেক্ষা করছিলাম। বৈঠক চলাকালীন সময়ে পাশের ঘর থেকে এসব আমি এতটুকুই শুনি। পরে নেতাকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার সময় আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত হই।
পরিকল্পনা মাফিক ৩০ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি দল সেখানে হামলা চালায়। হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে না পারলেও ওই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, হঠাৎ করে ৫০-৬০ জন তরুণ এসে মূল ফটক টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা গার্ডরুম ও তার পাশের অফিস কক্ষে ভাংচুর চালায়। এরপর গ্যারেজে থাকা মাইক্রোবাস, পাজারো জিপ ও প্রাইভেট কারসহ আটটি গাড়ি ভাংচুর করে। হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে আসা ওই তরুণরা ভাংচুর চালিয়ে চলে যায়। তাদের মধ্যে দুই একজনকে মনে হয়েছিলো আমি আগেও দেখেছি।’
উল্লেখ্য, ঘটনার পর নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল গুডস হিল এলাকায় যান এবং বাড়িটি পরিদর্শন করেন। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে এই মর্মে আমাদের কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।