৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃজলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকার চশমা খালের মুখ পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। এর মাধ্যমে নগরের দুঃখ খ্যাত ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প কাজের শুভ সূচনা হলো। মোনাজাতের মাধ্যমে শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সাথে ছিলেন। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে স্পেক্ট্রা লিমিটেড এবং করিম গ্রুপ নামে দেশের দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে সিইজিআইএস নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধন শেষে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম সাংবাদিকদের জানান, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর নেওয়া এ প্রকল্পের অধীনে শুরুতেই নগরের দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর, বহদ্দারহাট থেকে বাসটার্মিনাল ও ষোলশহরের আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে ষোলশহর রেলবিট সংলগ্ন ড্রেন পরিষ্কার করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রথম দফায় নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ড্রেন পরিষ্কার করা হবে। বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনতে নগরের যেইসব এলাকায় জলাবদ্ধতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, সেইসব এলাকায় কাজ চলবে।’ সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রকল্পটি বিশাল। তাই এবছর থেকে সুফল আশা করা যাবে না। প্রকল্পের কাজ শুরু করতেই অনেক সময় লেগেছে। প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হয়ে গেছে, এ বছর না পেলেও নগরবাসী আগামী বছর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রকল্প কাজের উদ্বোধনকালে সিডিএর বোর্ড সদস্য কেবিএম শাহজাহান, প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, প্রকল্প পরিচালক মো. মাইনুদ্দীন, সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সিডিএ সূত্রে জানা যায়, নগরের আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, চাকতাই, বকশিরহাট, দেওয়ানবাজার, খাতুনগঞ্জ, বৃহত্তর বাকলিয়া, চকবাজার ও চান্দগাঁওয়ের কিছু অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে এসব এলাকার ১৬টি খালের কাদা পরিষ্কার ও খননকাজ করা হবে। নির্ধারিত এলাকায় পানি নিষ্কাষণের সুবিধার্থে প্রথম দিকে ১৬টি খাল পরিষ্কার ও মাটি উত্তোলন করা হবে। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে একনেকে শর্তসাপেক্ষে ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট এ মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এরই মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রদান করেছেন এবং জিও পাওয়ার পরপরই একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।