চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির অধিকার ও সার্বভৌমত্ব আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের ১৪টি মূল্যবান বছর কাটিয়েছেন পাকিস্তানের কারাগারে। একজন নেতার এই রকম ত্যাগ বিশ্বে বিরল।’ মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) চসিকের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চসিক কে বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্বে বাঙালি জাতিসত্ত্বার পরিচয়ের ধারক মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আমাদের সকল উচিত দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে শ্রদ্ধা করা।’
সিটি মেয়র আরও বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের একটি পরিপূর্ণ ভাষণ। এ ভাষণে বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আন্দোলন এবং অধিকার আদায়ের নির্দেশনা ছিল। এছাড়া ৭ মার্চের পরবর্তী সময়ে নেতৃবৃন্দকে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সচিব আবুল হোসেন, ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় চসিক কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, আবদুল কাদের, এরশাদ উল্লাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। পরে ১৫ আগস্ট কালোরাতে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার-পরিজনদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post