পিংকু দাসঃসাতছড়ির গহীন বনে প্রকৃতির ভালোবাসা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের জন্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সত্যিই অনন্য। বনের ভেতর দিয়ে হাঁটলেই প্রকৃতির ভালোবাসার ছোঁয়া লাগে গায়ে।
১০ই অক্টোবর রোজ শুক্রবার হবিগঞ্জ জাতীয় উদ্যান সাতছড়িতে টাইমস্ কোচিং হোম এর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এক বন ভোজনের অায়োজন করেন টাইমস্ কোচিং এর কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ কোচিং এর প্রতিষ্টাতা জনাব এডভোকেট খলিলুর রহমান সুমন,সহকারী পরিচালনা করে যাচ্ছেন জনাব জয়নাল অাবেদিন, পানেশ দাস, কাসেম অাহম,ফারুক মিয়া। প্রায় ৫০ থেকে ৫৫জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে সিলেট কুমাড় পাড়া টাইমস্ কোচিং হোম সেন্টার থেকে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরন করে মিতালি গাড়ী দিয়ে যাত্রা শুরো করেন সকাল ৮;০০ঘটিকায় তার পর ছাত্র ছাত্রীরা অনেক অানন্দ উল্লাসে গান করেন মাইকে থাকেন সাফি অাহমদ, রিপন অাহমদ,পিংকু,যারা গান করেন তমা অাক্তার,সনি,বাপ্পী, রিপন,মনি,অারো অনেকে অানন্দ মুহূর্ততে থাকতেই পৌছে যান হবিগঞ্জ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। গাড়ী থেকে নেমেই সাংবাদিক পিংকু দাস এর জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
জাতীয় উদ্যানের গহীন বনের ভিতর দিয়ে এক ঘন্টার ট্রেইলে হাটতে থাকেন সবাই।
গহীন বনের ভিতর হাটার সময় মুখপোড়া হনুমানের ডাক কানে বাজে। অনেকেই এই ডাক শুনে ভয় পেয়ে যান।তাদের অনেকের মনে হয়েছিল, খুব কাছ থেকেই কোনো প্রাণী তেড়ে আসছে। কিন্তু মুখপোড়া হনুমান রয়েছে ঠিক মাথার ওপরেই।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের চাপালিশ গাছের ডালে ডালে খেলা করছে এ প্রাণীটি। তবে মানুষের অবস্থান টের পেয়ে চুপ হয়ে যায়। এরপর গহীন বনের ভেতর দিয়ে হাঁটতেই হনুমানের ডাক। এছাড়া ঘুঘু, টিয়া, টুনটুনি হরেক রকম পাখির কিচির-মিচির শব্দ। যেন প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো তাদেরকে।
সাতছড়ি বনের ভেতর দিয়ে এক ঘণ্টার ট্রেইল দিয়ে হাঁটার সময় দু’পাশে বিভিন্ন গাছের পাতা আঁকড়ে ধরে তাদের মনকে।
মাঝে মাঝেই বৃষ্টির ফোঁটা আধভেজা হয়ে প্রকৃতির দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা তাদের মনকে পুলকিত করছিল। যখন ঝড়-বাতাস আসে, গাছগুলো যেন মাথা নুয়ে প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে অবনত। আর বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়।
ঘন সবুজ বনের মাঝে মাঝে টিলা। আবার কোথাও একটি গাছ আরেকটি গাছের ওপর পড়ে আছে। ট্রেইলের ভেতরে গাছ পড়ে পচন ধরলেও হাত দিয়ে ধরার কেউ নেই।
সাতছড়ি বনে যেতে হলে একজন গাইড অবশ্যই থাকা দরকার। সাতছড়ি উদ্যানের মোঃঅাব্দুল হোসেন আমাদের গাইড হিসেবে বনের ভেতরে নিয়ে যান। কয়েক গজ ভেতরে যাওয়ার পরেই ৫৫ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠে সাতছড়ির সৌন্দর্য আরও ভালোভাবে দেখার সুযোগ পেয়ে ছিলাম বলেন টাইম কোচিং এর মেধাবী ছাত্রী তমা অাক্তার। চারদিকে সবুজের সমাহার। একপাশে পাম বাগান।
বনের ভেতরে একটি বটগাছের পেটের ভেতর আরেকটি গাছ আঁকড়ে রয়েছে, দেখে মনে হলো যেন, বাচ্চা গাছটিকে কোলে করে আদর করছে মা গাছ। আসলে পরজীবী এই বটগাছ ভেতরের গাছটির ওপর ভর করেই আকাশের দিকে জেগে উঠছে।
গার্ড মোঃঅাব্দুল হোসেন জানান, পরগাছা এই গাছ অন্য গাছকে মেরেই নিজের রাজত্ব করে। বাস্তবেও ভেতরের গাছটিকে মরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তার পর সামনে একটি বড় মাটে গিয়ে ফুটবল খেলা হয় ফুটবল খুব ভালো খেলান জয়নাল অাবেদিন,রিপন,জাহেদ,খেলার লেফারির দ্বায়িত্ব পালন করেন অামিনুল রসিদ ২০ মিনিটের খেলার পর দুপুরের খাবার খাওয়া হয়।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের মোট আয়তন ২৪৩ দশমিক ১০ হেক্টর। ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর এ বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে বন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবল অতি স্বল্প। মাত্র ৫ জন গার্ড ও একজন বিট অফিসার দিয়েই এতো বড় বনের তদারকি করা হচ্ছে।
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। উদ্যানটি সাতছড়ি বিটের রঘুনন্দন পাহাড়ি সংরক্ষিত বনের একটি অংশ।