হাবিবুল ইসলাম হাবিব:টেকনাফ সীমান্তে মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল হতে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় বন্দুক, কিরিচ ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং বিওপি ক্যাম্পের একটি টহলদল মিয়ানমার হতে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের গোপন খবর পেয়ে কাটাখালীর নাফনদী পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ছোট্ট কাঠের একটি নৌকা নিয়ে কয়েকজন লোক এসে কাঁদায় নেমে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করে। তখন মাদক বহনকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে বিজিবির সিপাহী মতিউর রহমান (২৪) ও উজ্জ্বল হোসেন (২৬) আহত হয়। তখন বিজিবিও সরকারি সম্পদ ও আত্বরক্ষার্থে ৩/৪ মিনিট পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। পরক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫০হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক, ২টি ধারালো কিরিচ ও ৩ রাউন্ড তাজা বুলেটসহ গুলিবিদ্ধ দুই এবং আহত বিজিবি জওয়ানদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিজিবি জওয়ানদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাদক বহনকারীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদক পাচারকারীরা মারা যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর নিহতরা উখিয়া কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের ব্লক-ই-৩ এর ২৪নং রোমের বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের পুত্র মোঃ সাকের (২২) এবং নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের ব্লক সি-৪ এর ২নং রোমের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র নুর আলম (৩০) বলে সনাক্তের পর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপাধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান।