বিশেষ প্রতিনিধিঃকরোনাভাইরাসে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মানুষের পাশে থাকা কর্মে, অন্তরে। কোনোভাবেই প্রচারের নয়, হতে পারে না। কাউকে সাহায্য দিয়ে তা ঘটা করে জানিয়ে দেওয়া, আত্মপ্রচার করার রাজনীতি আমি শিখিনি, শিখতে পারিনি।আমি সাহায্য করি, বিপদাপন্ন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি স্রেফ আত্মতুষ্টির জন্য।
করোনা-দুর্যোগে জনগণের পাশে নেই রেজাউল – হঠাৎই এমন অভিযোগ নগরজুড়ে।এ বিষয়ে কথা বলার সময় এভাবেই বলেছেন আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম নগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।বলে-কয়ে, ডাকঢোল পিটিয়ে সাহায্য দেয়ার পক্ষপাতি নন দাবি করে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বলতে চাই না, জানাতে চাইনি কোনো সাহায্যের কথা।
নগরের ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড, সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের সবটাতে সাধ্যমতো খাবারসামগ্রী পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। কোনো সাহায্য আমি সরাসরি পৌঁছে দিয়েছি, আবার কোনো কোনো সাহায্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাধ্যমে সমন্বয় করে বিতরণ করেছি। ইমাম, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির-গির্জা সব জায়গাকে সাধ্যমতো সাহায্যের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি আমি।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, আওয়ামী পরিবারে যারা টানা লকডাউনে সঙ্কটে পড়েছে, কিন্তু কাউকেই বলতে পারছে না, আমি সেইসব পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি এবং করছি। বিকাশের মাধ্যমেও অনেককে অর্থসাহায্য দিয়েছি। অর্থসাহায্য, খাদ্যবণ্টন চলবে করোনা থেকে মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত। রমজান সামনে রেখেও চলবে ইফতারসামগ্রী বিতরণ। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি সর্বোচ্চ করছি, করে যাবো। – বলেন মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১৯৯১ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় থানা বাঁশখালীতে ব্যক্তি-উদ্যোগে সাহায্য নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ছুটে গেছি। বিপদগ্রস্তদের পাশে এই যে ছুটে যাওয়া, দাঁড়ানো সবই চিত্তের তাগাদা, মানসিক প্রশান্তির জন্য। এভাবে যখনই সুযোগ পেয়েছি নিজের জায়গা থেকে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।
তখন কোনো প্রচার চাইনি, এখন কেন চাইবো? মানুষকে জানাতাম, আমি এই দিয়েছি, সেই দিয়েছি?তিনি বলেন, আমি ছোট মানুষ, খুব বেশি সামর্থ্য আমার নেই।।আমাকে দিয়ে হবে না অপরাজনীতি, নোংরামি, আত্মপ্রচারের উদগ্র প্রতিযোগিতা।
এই প্রচার না চাওয়া কি আমার অপরাধ? উল্টো প্রশ্ন রেখে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কী করে বলা হয় আমি মাঠে নেই, আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার বলার কিছু নেই। এমন কথাগুলো যারা বলছে কিংবা তাদের দিয়ে যারা বলাচ্ছে তাদের জন্য আমার মায়া হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
Discussion about this post