সিলেটে ১১ দফা দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন অনলাইনভিত্তিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘দারাজ’র রাইডাররা (ডেলিভারিম্যান)।
১২ জানুয়ারি বুধবার বেলা ২টার দিকে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপারস্থ দারাজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে সিলেট অফিসে তালাবদ্ধ করে বিক্ষোব্ধ ‘দারাজ’র রাইডাররা।
‘দারাজ’র রাইডার ইমরান আহমদের পরিচালনায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, সোহেল আহমদ, রাজীব আহমদ, আনোয়ার হোসেন, আরিফ আহমদ, তারেক আহমদ, আতিকুর রহমান, তমাল দাশ, ফাহিম আহমদ, সাহিদুর রহমান, আব্দুল কাদির, রাজন আহমদ, আবির হোসেন, শাকিব আহমদ, এমরান আহমদ প্রমুখ।
সিলেটে দারাজ কার্যালয়ের সামনে শতাধিক ডেলিভারিম্যান অবস্থান নিয়ে অবিলম্বে তাদের প্রাপ্য মাসিক বেতন, ওভারটাইমের পারিশ্রমিক সহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ ঢাকা অফিসের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন বলে হুসিয়ারী উচ্চারণ করেন।
‘দারাজ’র রাইডারদের দাবীগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- মাসিক বেতনের কোনো নিয়ম-নীতি নেই।
প্রতি মাসে রাইডারদের প্রাপ্য বেতনের চাইতে কম দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটির নিয়ম থাকলেও তাদের দিয়ে ওভারটাইম করানো হয়, কিন্তু ওভারটাইমের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। ডেলিভারির সময় ফোনের খরচ ও ডেলিভারের পর্যাপ্ত খরচ দেওয়া হয় না। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই নতুন নতুন নিয়ম রাইডারদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং অফিসে অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়। দুই ঈদ ছাড়া আর কোনো ছুটি তাদের দেওয়া হয় না।
মহামারি করোনার সংক্রমণের সময় কোনো ধরনের সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়নি, এমনকি কোম্পানির পক্ষ থেকে সামান্য মাস্কও তাদের দেওয়া হয় না।প্রতিদিন দুপুরের খাবারের জন্য টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত হঠাৎ বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া গত নভেম্বর মাসে টানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করানো হলেও রাইডারদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ অবশেষে আন্দোলনে রূপ নেয়।
Discussion about this post