জনতার কলাম-আনোয়ার হোসেনঃলক্ষ্মীপুরের কমলনগর (রামগতি) উপজেলার চর কালকিনি,সাহেবেরহাট,চরফলকন,পাটোওয়ারিরহাটও চরআলেকজান্ডার ইউনিয়নের মানুষ হেরে যাচ্ছে সর্বনাশা মেঘনা নদীর কাছে। শত মানুষের বসবাস এই নদীর ধারে।
বর্ষা বা বসন্ত নেই একটু সুযোগ পেলেই তছনছ করে দেয় সাধারন মানুষের বাড়িঘর। নদীর পাশে যারা তির রক্ষাবাধ হবে অপেক্ষায় অধির আগ্রহে মাথা গোজার ঠাই করে বসে আছে আজ তাদেরই জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ ।
এই সকল এলাকায় যাদের বসবাস, তারা নিতান্তই দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। কোন রকমে দিনে আনে দিন খায়। অত্যন্ত কষ্ট করে কোন মতে খাবার টুকু জোগার হলেও নেই তাদের রাতের ঘুম । হঠাৎ চমকে উঠে ভাবে এই বুঝি আমার ঘরটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে?
সর্বনাশা মেঘনা কখন যে কিরুপ ধারণ করে বুঝাই মুশকিল । এই ছলনাময়ী কল্পনাময়ী ও বহুরুপী ভোগবিলাসী মেঘনা নদী। বারংবার বিদ্যুতের গতিতে আসে রাক্ষসী ঢেউ নিয়ে । সেই ঢেউয়ে ভেসে চলে যাওয়া জনজীবন আজ বিপর্যস্ত।
দিন দিন নদীর ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে । দ্রুত বাধের কাজ সম্পন্ন করা না হলে কমলনগর,রামগতির মানচিত্র থেকে অচিরেই মুছে যাবে চরকালকিনি,সাহেবেরহাট,চরফলকন,
পাটোওয়ারিরহাট এবং চর আলেকজান্ডার সহ বিস্তির্ন অঞ্চল।
তাই অতি দ্রুত বাধের কাজ সম্পন্ন করে মেঘনার কড়াল গ্রাস থেকে জনজীবন রক্ষার জন্য উর্ধতন মহলের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
Discussion about this post