কুমিল্লা প্রতিনিধি :কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ১৪ নং সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্য দিয়ে ও চলছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। খসে পড়েছে পুরো ভবনের দেয়াল ও ছাদের পলেষ্টার ।
জরাজীর্ণ অবস্থায় জানালার কাঠ ভাঙা। জানালার লোহার গ্রিল গুলোর বেশির ভাগই মরিচা ধরে ভেঙে গেছে। মেঝের আস্তরণ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক গর্ত। তবে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর দাবী যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে এই ভবনটি ।
৮ই এপ্রিল সরেজমিনে দেবিদ্বার উপজেলার ১৪নং সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিনের কাজ।
ইউপি সচিব ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ভবনটি বহু বছরের পুরাতন একটি ভবন। ভবনটি নির্মাণের পর ভবনটির নতুন করে সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে এটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে জমি সংক্রান্ত জটিলতা থাকলেও এখন ভবন নির্মাণে পর্যাপ্ত জমি পাওয়ার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাটি পরীক্ষা করে গেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় নতুন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করে যাচ্ছেন দৈনন্দিনের কাজ উক্ত কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
ইউপি সচিব মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের পুরাতন জরাজীর্ণ ও খসে পড়া ভবন। প্রায় সময় ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ে ইউনিয়ন পরিষদে সেবাগ্রহীতাদের ও আমাদের মাথার উপরেও পড়ে। কি করবো বলেন দুর্ঘটনার ভয় নিয়েই এখানে কাজ করতে হয় । তাছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বিচার কার্য পরিচালনার সময় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ বাদী-বিবাদীর লোকজন মহামারী করোনায় যেখানে দিন দিন মহামারী আকার ধারণ করছে সেখানেও মুখে মাস্ক ও কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাপাচাপি করে বসে কাজ করতে হয়।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, এই জরাজীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়টি আমাদের উপজেলা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অবগত আছেন এবং নতুন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য চেষ্টা চলছে