গত এক দশক ধরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এর রফতানি আয়। ফলে বিশ্ববাজারে ইতোমধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র।
এর ধারাবাহিকতায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আসবাবপত্র রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ শতাংশ বেড়েছে।
আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের আসবাবপত্র রফতানি হয়েছে।গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
দেশের আসবাবশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের দাবি-গুনগতমান এবং যুগোপযোগী নকশায় আসবাবপত্র তৈরির ফলে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র প্রিয় হয়ে উঠছে। তাই নতুনত্ব আর আধুনিকতায় গত এক দশকে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্প।
বর্তমানে আরব বিশ্ব বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মূলত বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্র রফতানি হচ্ছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে,চলতি অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬ কোটি ডলার।এর বিপরীতে ৮ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। বছরশেষে রফতানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইপিবির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আসবাবপত্র রফতানিকারক সমিতির সভাপতি কে এম আক্তরাজ্জামান বলেন, নিত্যনতুন নকশা, মানসম্মত কাঠ আর কারিগরদের দক্ষতায় তৈরি করা বাংলাদেশের আসবাবপত্রের মান খুব ভালো। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের বিপুল চাহিদা মেটাতেও সক্ষম হচ্ছে।
ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য গুণগতমান উন্নয়ন এবং ডিজাইনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, দেশের ফার্নিচার শিল্পকে স্থায়ী রফতানি পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আসবাবপত্র রফতানিতে দেয়া হচ্ছে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা। নতুন বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য তৈরিতে সরকার ব্যবসায়ীদের সহায়তা করছে।
তিনি জানান, গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের আসবাবপত্রের রফতানি আয় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে এবং প্রতিবছর লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ৬ কোটি ডলারের আসবাবপত্র রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যবসায়ীরা এই শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে কিছু প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার কমানোর দাবি জানান।
Discussion about this post