৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃউন্নয়নের বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৪ থেকে ৬ অক্টোবর দেশের সব জেলা, উপজেলায় হতে যাচ্ছে চতুর্থ উন্নয়ন মেলা-২০১৮ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে দেশের সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
এ বিষয়ে বুধবার মেলা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, মেলায় মোট ৩৩০টি স্টল থাকবে। মেলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থা এসব স্টল স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, তিন দিনের এ মেলায় আমরা মূলত সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো আমরা জনগণের কাছে উপস্থাপন করব। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য কীভাবে অর্জন করব তা শোকেসিং করা হবে।
এছাড়া, মেলায় বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা তাদের জেলাকে ব্র্যান্ডিং করবেন। তারা তাদের জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং পর্যটন ও বিনিয়োগ সুবিধার বিষয় তারা তুলে ধরবেন।
মেলার তিন দিনে তিনটি সেমিনার হবে। প্রথমদিন বিকেল ৫টায় হবে ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার। দ্বিতীয় দিনের সেমিনারটিও হবে একই সময়ে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ শিরোনামে। শেষ দিনে রয়েছে ‘শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার।
মেলায় সার্বক্ষণিক ওয়াইফাই, তথ্যকেন্দ্র থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, মেলায় সরকারি সেবাপ্রতিষ্ঠান, দপ্তর কিছু ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ সেবা দেবে, যেমন: বিআরটিএ গাড়ির নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন সেবা দেবে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর মেলায় সরাসরি পাসেপোর্ট আবেদন গ্রহণ এবং পাসপোর্ট ফি গ্রহণ করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্টলে ২০১৯ সালে হজে যেতে ইচ্ছুকরা নিবন্ধন করতে পারবেন।
এছাড়া, প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এদিকে, এবারের উন্নয়ন মেলার বিস্তারিত তুলে ধরতে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব নেতারা। তরুণ প্রজন্ম উন্নয়ন মেলায় এসে যেন নিজেদের নতুনভাবে আবিষ্কার করে, সে আয়োজন থাকছে।
তিনি বলেন, মেলায় উদ্ভাবনী কিছু বিষয় থাকবে। শহরের সুবিধা কীভাবে গ্রামে পৌঁছাবে, সেটা তরুণ প্রজন্ম উপলব্ধি করতে পারবে এই মেলায়। এই মেলায় ডেল্টা প্ল্যান আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব একটা বিষয়। আমাদের উন্নয়নে নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বিশেষ উদ্যোগে জনগণের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা এ মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।
উন্নয়ন মেলায় নতুন-পুরনো প্রজন্মের সম্মিলন ঘটবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ মেলায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে নানা কর্মসূচি থাকবে। উন্নয়নের নেতৃত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর নানা প্রদর্শনী হবে।
এ মেলায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকদের আসার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।
Discussion about this post