নওগাঁ জেলাপ্রতিনিধি:আত্রাইয়ে সেই অসহায় অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিলেন ইউএনও। ছেলে ও ছেলে বউয়ের অবহেলায় ষাটরোর্ধ্ব অসুস্থ সেই বৃদ্ধা জোহরা বেওয়ার দায়িত্ব নিলেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ছানাউল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)ছানাউল ইসলাম জোহরা বেওয়ার অবস্থা সরেজমিন দেখার জন্য তার বাড়ি আত্রাই উপজেলার হাটুরিয়া গ্রামে যান । এ সময় তিনি অসুস্থ জোহরা বেওয়াকে এক বস্তা চাউল,ফলমূল ও চিরা দিয়ে, ইউপি সদস্য আফজাল হোসেনকে অসুস্থ বৃদ্ধা জোহরা বেওয়ার দেখা শোনার জন্য নির্দেশ দেন ।বৃহস্পতিবার(১৩আগষ্ট) দৈনিক ৭১ বাংলাদেশ পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে জোহরা বেওয়াকে নিয়ে অসহায় একটা বৃদ্ধা মায়ের মানবেতর জীবন যাপন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এদিকে ঘটনাটি নজরে আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম ছুটে যান মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন হাটুরিয়ার ওই বৃদ্ধার বাড়িতে। পরে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন আত্রাই থানার ওসি মোসলেম উদ্দিন তিনি ও চাল সহ খাদ্য সামগ্রী পাঠান ওই বৃদ্ধার কাছে। স্থানীয়রা জানান, স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায় গরীব হলেও সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবেই দিন কেটেছে সৈয়দ আলী ও জোহরার দম্পতির।সৈয়দ আলী মৃত্যুবরণ করায়। সংসারে টানাটানি শুরু হয়। কিন্তু গর্ভধারিণী মাকে করতে হচ্ছে আজ মানবেতর জীবনযাপন । বয়সের ভার আর অসুস্থতার কারণে ছেলে ও ছেলের বউয়ের কাছে হয়েছে অপ্রিয়।
তার পর প্যারালাইসিসে হয়েছে পুঙ্গু। এদিকে জোহরার ছেলে বলেন, আমি সামান্য আয়ের মানুষ। টাকার অভাবে মায়ের ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। সাংবাদিক এসেছিল তারা যাবার পর আমি চেষ্টা করছি মাকে যত্ম আদর করতে। ভরণপোষণের জন্য সরকার আইন করেছে জানতাম না সাংবাদিক আসাতে জেনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম জানান বিষয়টি জানার পর আমি খুবই ব্যাথিত হয়েছি। আজ থেকে অসুস্থ জোহরা বেওয়ার চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার তিনিই বহন করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম বৃদ্ধা জোহরার বাড়ী পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)আত্রাই আরিফ মিশু ও স্হানীয় ইউপি সদস্য ও সাংবাদিক বৃন্দ।