নওগাঁ প্রতিনিধিঃদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম সমবায় সমিতি নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর অস্থিত্ব প্রায় বিলীনের পথে। গাঁজা মহলের সেই স্বর্নালী দিনগুলি এখন শুধুই ইতিহাস। পড়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সুযোগ সন্ধানীরা সেই সম্পদের অনেকটাই গ্রাস করে ফেলেছে। মিলবেনা আগের সেই হিসাবের খাতা।
স্বেচ্ছাচারিতা,ষড়যন্ত্র এবং ব্যক্তিস্বার্থান্বেষীদের দ্বারা গাঁজা সমিতির গৌরবময় দিনগুলি চলে এসেছে এখন শুধু স্মৃতির পাতায়। গাঁজা চাষ যেভাবে বন্ধ হয়েছিল ১৯৭৪ ইং সালে জেনেভা কনভেনশনে মাদকদ্রব্য বিরোধী চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৯০ সালের মধ্যে গাঁজা চাষ বন্ধের শর্ত ছিল। শর্ত মোতাবেক ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে গাঁজা চাষ বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সমবায় প্রতিষ্ঠান নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর ৭ হাজার সমবায়ী পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের অভাবে চরম বিপাকে পড়ে। বংশ পরম্পরায় চলে আসা প্রায় ২শ’ বছরের প্রাচীন পেশার মানুষগুলোর সামনে ছিলনা কোন কাজের নির্দেশনা।
কাঁশার থালায় হাতের কব্জি ডুবিয়ে দুধভাত খাওয়ায় অভ্যস্ত মানুষগুলি দিন দিন ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। ধান, সরিষা,সবজি তাদের কাছে তখন নতুন ফসল হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু গাঁজা চাষ আর ফসল চাষের মধ্যে বিস্তর ফারাক। গাঁজা চাষ শুরু ও নীতিমালা প্রনয়নঃ গাঁজা নওগাঁতে কখন, কিভাবে শুরু হয় তার কোন সুষ্পষ্ট দলিল পাওয়া যায়নি।
জনশ্র“তি আছে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে যশোর থেকে প্রথম গাঁজার বীজ এনে নওগাঁ তৎকালিন পাঁচুপুর থানায় ( যা বর্তমানে আত্রাই ও রানীনগর পুলিশ ষ্টেশন) প্রথম গাঁজার চাষ শুরু হয়। গাঁজাকে পাক ভারতের প্রাচীন কৃষিজাত দ্রব্য বলে মনে করা হয়। এর আগে ১৭২২ সালে নওগাঁ’র উত্তর মুরাদপুর গ্রামে প্রথম গাঁজা উৎপাদন শুরু করা হয়। ১৮৭৭ সালে নওগাঁকে মহকুমায় রুপান্তরিত করা হয়। কৃষিজাত বিভিন্ন ফসল থেকে গাঁজা উৎপাদন অধিক লাভজনক হওয়ায় গাঁজার চাষ নওগাঁ মহকুমার মহাদেবপুর, বদলগাছী ও আদমদীঘি থানার মধ্যে ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করে।
তখন ওই এলাকাগুলোকে গাঁজামহল বলা হতো। তখন মহাদেবপুর থানা পশ্চিম দিনাজপুর জেলায় এবং আদমদীঘি থানা বগুড়া জেলার অন্তর্গত ছিল।। পরবর্তীতে মহাদেবপুর থানা নওগাঁর অন্তর্গত থাকলেও আদমদীঘি থানা বগুড়ার অধীনে চলে যায়। একমাত্র গাঁজা মহলের শাসন কার্যের সুবিধার্থে ওই দুটি থানাকে নওগাঁ মহকুমায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৭৬ সালে গাঁজা উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স প্রথার প্রবর্তন করা হয়। লাইসেন্সে উল্লিখিত জমি ছাড়া গাঁজা উৎপাদন করতে পারতোনা কোন কৃষক। এ নিয়ম ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। ১৯১৭ সালে গাঁজা কালটিভেটরস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ রেজিষ্ট্রী হওয়ার পর নওগাঁর কীত্তিপুর, মুরাদপুর ও গোবিন্দপুর এই তিনটি এলাকায় গাঁজা উৎপাদনের স্থান নির্ধারিত হয়।
জুন-জুলাই মাসে গাঁজার চাষের জন্য চারা তৈরী করে প্রায় ৯-১০ ইঞ্চি দুরে দুরে সারিবদ্ধ ভাবে গাছ রোপন করা হতো। স্ত্রী গাছগুলি ক্ষেতের প্রধান শত্র“। তাই দেখামাত্র স্ত্রী গাছগুলি তুলে ফেলা হতো। স্ত্রী গাছ সংস্পর্শে থাকলে পুরুষ গাছগুলিতে গাঁজা তৈরীর জটা বা ভুয়া তৈরী না হয়ে কেবল বীজ তৈরী হতো । কোনটি স্ত্রী বা পুরুষ গাছ তা কৃষকরা বুঝতে পারতোনা।
ওই গাছগুলিকে চিহ্ণিত করার জন্য বিশেষ দক্ষ কৃষক থাকতো। তাদেরকে পোদ্দার বা পরখদার বলা হতো। ফেব্রয়ারী মাসে গাঁজা পরিপক্ক হলে কৃষকরা নিজ নিজ তত্বাবধানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গাছ কেটে এনে কিছু সময় রোদে শুকিয়ে গাছ একটার পর একটা সাজিয়ে ভারী ইট বা পাথর দিয়ে ২-৩ দিন চাপা দিয়ে রাখতো। পরে গাছগুলো পুনরায় রোদে শুকিয়ে গাঁজার জটাগুলোকে চোটি করার জন্য কৃষকরা পা দিয়ে অনবরত চাপ দিতো। গাছ হতে জটাগুলি কেটে বস্তায় করে পরে সশস্ত্র পুলিশ পাহাড়ায় নওগাঁয় অবস্থিত গাঁজাগোলায় পাঠানো হতো। গাছগুলোর বয়স ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস হলে গোলায় উঠানো পর্যন্ত নারকোটিকস্ এন্ড লিকার বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মচারী , পুলিশ এবং আনছারদের কড়া প্রহরায় রাখা হতো। প্রত্যেক ক্যাম্পে একজন সহকারী দারোগা এবং দুইজন সিপাই থাকতো।
এছাড়া একজন ফিল্ড সুপারিনটেনডেন্ট,একজন সার্কেল অফিসার ও দুইজন রোডিং অফিসার নিযুক্ত থাকতেন । গাঁজা চাষের মওসুমে এই চাতাল ও ক্যাম্পগুলি হ্যাচাকের আলোতে আলোকিত হয়ে থাকতো । সমস্ত কাজের ব্যয়ভার নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি বহন করতো। শেরে বাংলার ভাগিনা ও জামাতা মোঃ ওয়াজিব আলী দীর্ঘদিন এখানে ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তখন প্রায় ১১ একর জমির উপর এক্সাইজ সুপারিনটেনডেন্টের জন্য দোতলা বাসভবন এবং ডেপুটি চেয়ারম্যানের জন্য প্রায় ২ একর জমির উপর দোতলা ভবন তৈরী করা হয়েছিল যা এখনো রয়েছে। ১৯১৭ সালে নওগাঁ গাঁজা কালটিভেটরস সমিতি লিঃ নামে একটি বৃহত্তম ও প্রাচীনতম সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। সমিতির জম্মলগ্নে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৮ জন ছিল।
পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি নামকরণ করা হয়। সমিতি রেজিষ্ট্রী করার সময় নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী এলাকাকে কীর্ত্তিপুর , গোবিন্দপুর ও মুরাদপুরকে নির্ধারন করা হয়। ১৯১৯-২০ সালে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন কীর্ত্তিপুর সার্কেলঃ মুন্সী মোমিন উদ্দিন মন্ডল, মুন্সী লালমন সরদার, মুন্সী এলাহী বক্স সরদার, শ্রী সারদা কান্ত সরকার, মুন্সী মীসারতুল্লা দেওয়ান। গোবিন্দপুর সার্কেলঃ মৌলভী তারিফ মোহাম্মদ, মুন্সী নফর উদ্দিন সরদার, মুন্সী হানিফ মন্ডল,মুন্সী তহির মন্ডল, মুন্সী মহর সিকদার। মুরাদপুর সার্কেলঃ মুন্সী রহিমুদ্দিন সরদার, মুন্সী ধোনাই মন্ডল, মুন্সী কাদের বক্স সরদার, মুন্সী বদরুদ্দিন মন্ডল, মুন্সী আইয়ুব হোসেন খান, মুন্সী বিরুমুদ্দীন মন্ডল। জানা যায়, তৎকালীন মন্ত্রী সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী সি,আই,ই ১৯১৯ সালে নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির উদ্বোধন করেন। উৎপাদিত গাঁজা এলাকা হিসাবে নিজ নিজ নামে গুদামজাত করলেও কৃষক ওই গাঁজা সমবায় সমিতির মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত গাঁজা বিক্রয় করতো ।
জনসেবায় যেভাবে গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃঃ এগিয়ে ছিলঃ ১৯২৩ সালে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর উপর লিটন সেতু নির্মানের ব্যাপারে গাঁজা সমিতি বেশ কিছু অর্থ দান করে। ১৯৪৩ সালে তৎকালিন মহকুমা প্রশাসক আখতার হামিদ খান নওগাঁয় দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় সমিতির তহবিল হতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার চাল কিনে রাখেন। ফলে নওগাঁয় মৃত্যুর হার ছিল অনেক কম।। গরীব কৃষকদের জন্য প্রথম সমবায় সমিতি গড়ে তোলা হয় এবং এই সমিতিগুলোকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য সমবায় কো অপারেটিভ ব্যাংক স্থাপন করা হয়। তদানিন্তন মিঃ জে,এম,ই,এস,কিউ,এন,এ রায় বাহাদুর নওগাঁ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গাঁজা সমিতির ১৮১৮ সালের রেজুলিউশন বহি অনুযায়ী দেখা যায় ১৯২২ সালে নওগাঁ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনারী সমবায় সমিতি থেকে বিভিন্ন সময় ৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন গ্রহন করেছিল।
দেশ বিভাগের পুর্বে নওগাঁয় কোন ব্যাংক ছিলনা। তখন কলকাতার ষ্টেট ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের সমস্ত লেনদেন পরিচালনা করা হতো। সেই সময় এই গাঁজা উৎপাদনকারীী সমবায় সমিতি নওগাঁ এলাকাবাসীদের জন্য ব্যাংকের লেনদেনের কাজ পরিচালনা করতো। এই সমিতির অফিসের প্রধান ভবনের একটি ঘর ষ্ট্রং রুম হিসাবে ব্যবহার করা হতো। নওগাঁ মহকুমার বিভিন্ন অফিস আদালত এবং প্রতিষ্ঠানের টাকা এখানে রাখা হতো। নওগাঁ কোঅপারেটিভ সমবায় ব্যাংক ছাড়া জেলা বোর্ড ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই গাঁজা সমবায় সমিতি হতে টাকা ঋন নিত ।
তখন ভবনটিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনে সশস্ত্র পাহাড়া ছিল। এখানে ঘন্টা ছিল,যার সংকেত ধ্বনি নওগাঁ শহরবাসীকে সচেতন করে রাখতো। শিক্ষা বিস্তারে নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সমবায় সমিতি কর্তৃক ১৯১৬ সালে চাকলা এবং ১৯২১ সালে কীর্ত্তিপুর ও চকআতিথা এবং ১৯৩৬ সালে পাহাড়পুর হাইস্কুল স্থাপন করা হয়। তৎকালিন গাঁজা সমিতির প্রবীণ ডিরেক্টর খান বাহাদুর বছির উদ্দিনের চেষ্টায় নওগাঁ গাঁজা সোসাইটি ১.৮০ একর জমি দান করেন নওগাঁ বি এম সি কলেজের জন্য। পুর্বে কলেজটি মাদ্রাসা ছিল। পরবর্তীতে গাঁজা সমিতির এই প্রবীণ ডিরেক্টর খান বাহাদুর বছির উদ্দিনের নাম অনুসারে সংক্ষেপে বিএমসি কলেজ নামকরণ করা হয়। এছাড়া গাঁজা মহলের ১১টি স্কুল ও বর্তমানে নওগাঁয় আরও ৬-৭ টি কলেজ ও স্কুলসহ সর্বমোট ১৭-১৮টি বিদ্যালয়, ৪-৫টি মাদ্রাসা রয়েছে এবংং প্রায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ শিক্ষার্থীকে প্রতি বৎসর ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হতো। ১৯১৭-১৮ সালে গাঁজা সোসাইটি কর্তৃক ৩ টি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয়। সেখানে একজন ডাক্তার , ১জন কম্পাউন্ডার , ১ জন পাহাড়াদার , ১ জন পিয়ন ও ১ জন সুইপারের বেতনসহ সারা বছরের ঔষধ সমিতি কর্তৃক সরবরাহ করা হতো। আগে যা ছিল এখন যা নেই মুলত গাঁজা চাষকে কেন্দ্র করে নওগাঁ শহরে রুপান্তরিত হয়। শহরের প্রাচীন ভবন বলতে নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর ভবনগুলোকে চিহিৃত করা হয়। বহু উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে এখনো কোনভাবে টিকে আছে সমিতিটি।
এই সমিতির কার্যক্রমে অভিযোগের শেষ নেই। আদালতে অগুনতি পাল্টা পাল্টি মামলা রয়েছে। বহু রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি সমিতির বাসভবনগুলি নামমাত্র ভাড়ায় নিজেদের আয়ত্বে রেখেছেন। শুধুমাত্র মসজিদের জন্য চারটি ও মন্দিরের জন্য্য একটিসহ পাঁচটি বাড়ি মসজিদ ও মন্দিরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই সময় ৮৫জন কর্মচারীর বেতন বাবদ ব্যয় হতো প্রায় ৫৫ হাজার টাকা । ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এক হিসেব অনুযায়ী দেখা যায় সরকার গাঁজা খাত থেকে প্রায় গড়ে ১ কোটি ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬শ’ টাকা আয় করেছিল। বর্তমানে নওগাঁর গাঁজাভিটে গুলোতে কৃষকরা মৌসুমী ফসল ও সবজি চাষ করছে। ১৯৮৭ থেকে ২০০৬ সাল এই দীর্ঘ সময়ে জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জন বেছে নিয়েছে বিভিন্ন পেশা। সম্প্রতি নওগাঁ গাঁজা উৎপাদনকারীী সমবায় সমিতি লিঃ তাদের সম্পত্তির বিভিন্ন স্থানে মার্কেটসহ ভবন নির্মাণ শুরু করেছে। কিছু কিছু জায়গাও নামমাত্র দামে বিক্রি করে দিয়েছে। অনেকেই জবর দখল করে রেখেছে বেশকিছু জায়গা ও ভবণ। কিন্তু এই সমিতির প্রকৃত সমবায়ীরা তাদের নায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। অথচ নওগাঁ যখন ১৯৮৪ সালের ১লা মে নওগাঁ মহকুমা জেলায় রুপান্তরিত হয় তখন সরকারী অফিস আদালতগুলো গাঁজা ভবনগুলিতেই অফিস স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। পরতর্বীতে সরকারী ভবন নির্মাণ হলে অফিসগুলো স্থানান্তর করা হয়।
পরিত্যক্ত ফাঁকা ভবনগুলি অভিভাবক ও নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ে। চলে যায় বিভিন্নজনের দখলে ।
গাঁজা উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার মাধ্যমে সমবায়ীদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।