মহানগরের কোথাও ভোর থেকে আর কোথাও দুপুরের পর থেকে চুলা জ্বলছে না। কোনো কোনো জায়গায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় পানি গরম হতে সময় লাগছে প্রায় ঘণ্টা-খানেক। বলা যায়, পুরো চট্টগ্রাম গ্যাস সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা বলছেন, ফৌজদারহাট থেকে পুরো চট্টগ্রামে প্রধান সংযোগস্থলে কাজ চলছে। তাই তিন দিন এ গ্যাস সংকট দেখা যেতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর দেওয়ান হাট, নাজিপুল,পাঠান টুলি রোড, আগ্রাবাদ , জামালখান, আসকার দীঘির পাড়, কাজীর দেউড়ি, হালিশহর ও বহদ্দারহাটসহ প্রায় জায়গায় কোথাও কিছুটা গ্যাস থাকলেও অনেক জায়গায় একেবারে গ্যাস নেই।
আসকার দীঘির পাড় এলাকার গৃহবধূ নূরজাহান বলেন, ভোর থেকে একদম জ্বলছে না চুলা। গ্যাস থাকবে না সেটিও আমরা জানতাম না। শুক্রবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০ জন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা প্রত্যেকেই তাদের এলাকায় গ্যাস একেবারেই না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। থাকলেও তা কাজে না আসার কথা বলেছেন। এ অবস্থায় কেউ বেছে নিয়েছেন এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার কিংবা কেরোসিনের স্টোভ অথবা মাটির চুলা।
জামালখান এলাকার বাসিন্দা লিপি আক্তার বলেন, সকালে ছেলেদের নাশতাও তৈরি করে দিতে পারিনি।
হালিশহর এলাকার বি ব্লকের বাসিন্দা কুলসুমা খানম বলেন, গ্যাসের চাপ খুব কম। চায়ের পানি গরম হতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মনজুরুল হক বলেন, প্রধান সংযোগস্থলে কাজ চলায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। ঘণ্টাখানেক পর যেসব জায়গায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে সেসব জায়গায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
Discussion about this post