বিশেষ প্রতিনিধিঃমঙ্গলবার ৩রা সেপ্টেম্বর নগরীর ৩নং ও ১০নং রুটের যাত্রীরা বহুদিন যাবৎ পরিবহন গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে।যাত্রীদের অভিযোগ যাত্রীর চাপ থাকলে তারা আর শেষ গন্তব্য না গিয়ে অর্ধেক পথ থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়।তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয় অক্সিজেন ও বহদ্দারহাট এলাকায়।
অভিযানে দেখা যায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাস শেষ গন্তব্যস্থল পর্যন্ত যাচ্ছে না। ৩ নং রুটের অনেক বাস ফতেয়াবাদ না গিয়ে অক্সিজেন থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে এবং ১নং ও ১০ নং রুটের অনেক বাস কালুরঘাট না গিয়ে বহদ্দারহাট থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। এতে ঐ সকল রুটের যাত্রীরা প্রচুর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অক্সিজেন থেকে ফতেয়াবাদের যাত্রীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এবং বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট এর যাত্রীরা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছেন না।তাতে ভীষণ হয়রানির হতে হয় যাত্রীদের।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস টাইমেও তারা এই কাজ করায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনা।
এ ব্যাপারে বাসের কয়েক জন চালক ও হেলপারদের সাথে কথা বললে জানা যায়, রাস্তায় জ্যাম থাকে বিধায় তারা শেষ গন্তব্যে যান না। আবার তারা এটাও স্বীকার করেন যে আসলে এটাও নিয়ম বর্হিভুত।
এ ব্যাপারে আদালত -১২ বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বলেন,এক রুটের পারমিট গাড়ি অন্য রুটে চলার নিয়ম নেই।এটা রুট পারমিটের সরাসরি লঙ্ঘন।আজ আমরা পেয়েছি অপরদিকে ৫ নং রুটের পারমিট নেয়া একটি বাস বহুদিন ধরে চলাচল করছে ১০ নং রুটে।তারমধ্যে ড্রাইভার জানেও না তার কাগজে কোন রুটের পারমিট নেয়া আছে। এই রকম গাড়ি গুলোকে খুজে বের করে আজ ৩ নং ও ১০ নং রুটের ৯টি বাসকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে বিআরটিএ’র কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।