বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদে তরুণ মারুফের আত্মহত্যার ঘটনায় করা প্রথম কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে সিএমপির সদর দপ্তর। এরপরই নতুন করে তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত টিম গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
এ কমিটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে সিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার পরপর করা দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির জমা দেয়া প্রতিবেদন বাতিল করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে সিএমপি সুত্র নিশ্চিত করেছে। (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদকে প্রধান করে সদস্য করা হয়েছে ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) শ্রীমা চাকমা ও নগর পুলিশের সিএসবি শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল আফসার ভূইয়াকে।
তবে ঘটনার দিন করা দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন,ডবলমুরিং জোনের এসি শ্রীমা চাকমা ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন।
নতুন তদন্ত কমিটির প্রধান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম জোন) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ বলেন,মারুফ নামের তরুণের আত্মহত্যা ঘটনাটির অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা ঘটনাটি নিরপেক্ষতার সাথে অনুসন্ধান করার চেষ্টা করবো। ইনশাল্লাহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনার স্যারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
সূত্রে জানায় মারুফ আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর নাখোশ হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তারা আমলে নিয়েছে। শনিবার সকালেই সিএমপিকে পুন:তদন্ত কমিটি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই সন্ধা ৭ টায় নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদের বাদামতলি মসজিদ এলাকায় ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানের হাতে নিজ মা বোনের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় অপমানিতবোধ করে রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন দশম শ্রেণি পড়ুয়া ১৬ বছরের তরুণ সাদমান ইসলাম মারুফ।
এ ঘটনায় ১৬ জুলাই ও পরদিন ১৭ জুলাই বাদামতলি মসজিদ এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন এলাকাবাসী।এলাকাবাসী বলছেন, প্রথমে হেলাল খানের দুজন পোষ্য সোর্সের হাতে কোনোরকম কারণ ছাড়াই মারধরের শিকার তরুণ মারুফ। এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসেন হেলাল খান। সোর্সদের সাথে হেলাল খানও মারুফসহ তার মা বোনকে বেদম পিটিয়ে নাজেহাল করেন। একপর্যায়ে মারুফ সটকে পড়লে তার মা বোনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এসআই হেলাল খান। বিষয়টি মানতে পারেননি মারুফ। রাগে ক্ষোভে পাশের করিম চাচার ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনার পরপর করা তদন্ত টিমের প্রধান ডবলমুরিংয়ের এসি শ্রীমা চাকমা বলেন, মারুফের আত্মহত্যা ঘটনায় তদন্ত শেষে আমরা ১৭ জুলাই রাতে কমিশনার স্যার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করি। কিন্তু ঘটনাটি আরও বেশি অনুসন্ধানের প্রয়োজন অনুভব করে কমিশনার স্যার ফের তিন জনের একটি নতুন তদন্ত টিম গঠন করেন। এ টিমেও আমি রয়েছে। আমাদের হাতে দুইদিন সময় রয়েছে। এ দুইদিনে আমরা ঘটনাটির গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করবো। এরপর কমিশনার স্যার বরাবর ফের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পরপর ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানকে সাময়িকভাবে ক্লোজড করেছেন নগর পুলিশ।নতুন তদন্ত কমিটিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার
Discussion about this post