চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতাঃ-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ২০১৭সালের সিলেবাসে ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।পুনরায় পরীক্ষা না নিলে পরীক্ষায় ফেলের আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরা ।সংশ্লিষ্টসুত্রে জানাগেছে, নাচোল উপজেলার ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নাচোল বি কেন্দ্রের কক্ষ নং-৫ এর ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজী প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা নেওয়ার কথা এবং ২০১৭সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০১৭সালের সালের সিলেবাস অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও তা না নিয়ে কেন্দ্র সচিব গত সোমবার ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০১৭সালের ও ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজী প্রশ্নপত্র দিয়ে ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন।নাচোল উপজেলার ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নাচোল বি- হচ্ছে খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।আর এই কেন্দ্রের পরীক্ষা সচিব হচ্ছে খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।গত সোমবার ইংরেজী প্রথম পত্রের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম প্রশ্নপত্র যাচাই বাছাই না করেই তাঁর কেন্দ্রের কক্ষ নং ৫এর২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০১৭সালের ও ২০১৭সালের পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাসে ইংরেজী প্রথম প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেন।পরীক্ষা শেষ করে পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে অনেক পরীক্ষার্থী বাড়ি চলে যান। কিন্তু পাঠশালা স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক আমানুল্লাহ গত সোমবার তাঁর স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ঐ কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করেন।পরীক্ষা শেষ হবার পর সহকারি শিক্ষক আমানুল্লাহ তাঁর ছাত্র রনি আলমের পরীক্ষা কেমন হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করলে রনি আলম শিক্ষককে জানান পরীক্ষা ভাল হয়নি সার।পরে পাঠশালা স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক আমানুল্লাহ রনি আলমের প্রশ্নপত্র দেখতে গিয়ে দেখে যে রনি আলম কে ২০১৮সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে।কিন্তু রনি আলম ২০১৭সালের পরীক্ষার্থী সে অনুযায়ী রনি আলম ২০১৭সালের প্রশ্ন পত্র পাবে। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়েছে ২০১৮সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র।পরে বিষয়টি নিয়ে সহকারি শিক্ষক আমানুল্লাহ ও তাঁর অধ্যক্ষ শাহাদাৎ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হককে প্রশ্নপত্র ভুলের বিষয়টি অবহিত করেন।কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের কোন সদ উত্তর দিতে পারেনী।২০১৭সালের সিলবাসে ২০১৮সালের ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এরকম গুজব বের হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা খোঁজখবর নিয়ে ঐ কেন্দ্রের ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী নাচোল উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের নেজাম উদ্দিনের ছেলে সাগর আলীর বাড়ি গিয়ে পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষার্থী সাগর আলী জানান,আমি ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমি ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিব।কিন্তু স্যাররা আমাদের ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা নিয়েছে। যার কারনে আমার পরীক্ষা খারাপ হয়েছে।তিনি পুনরায় ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার জোর দাবি জানান।তবে এই কেন্দ্রে প্রায় ৫০জন এসএসসি পরীক্ষার্থী২০১৭সালের সিলেবাস প্রশ্নপত্রে ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা যায়।অভিভাবকদের দাবি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবের উদাসিনতায় যদি কোমলমতি পরীক্ষার্থীদের জীবন ঝরে পড়ে তাহলে তাদের দায়ভার কে নিবে? এমনটি প্রশ্ন জেগেছে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে।
এ বিষয়ে খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে ২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী রুহুল ও আলামিন জানান,ভুলের কারনে আমাদের কোমলমতি জীবন নষ্ট হোক তা আমরা চাইনা।পুনরায় আমাদের ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জোর দাবি করছি।
এ বিষয়ে খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম জানান,বিজিপ্রেসের ভুল বশত এটি হয়েছে।বিষয়টি নিরসনের জন্য আমি বোর্ডে যাচ্ছি বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান।