মোঃ বোরহান উদ্দিনঃনার্সরাই যেন হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তা তাদের সাথে কথাই বলা যায়না কিছু বলতে চাইলে বা জানালে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলে অভিযোগ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পুরুষ ওয়ার্ড ও সাধারণ কেবিনের রোগী ও স্বজনদের। বুধবার (১মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের সাথে আলাপকালে এসব অভিযোগ উঠে নার্সদের বিরুদ্ধে। ভর্তিরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক রোগী ও স্বজনরা জানান, এখানে ফ্যানের সমস্যা,নিয়মিত ডেটল কিংবা সেভলনের পানি দিয়ে মেঝ ধৌত কিংবা পরিস্কার করার কথা থাকলেও ওয়ার্ডের মেঝগুলো পরিস্কার করা হয় না কোনমতে সকালে ঝাড়ু দেয়া হয়, পরিস্কার বেডসিট দেয়ার কথা থাকলেও এক বেডসিট দিয়েই চলে দিনের পর দিন। টয়লেটের পাশে বেসিন থাকলেও নেই কোন পানির টেপ নেই পানির ব্যবস্থা। সন্ধার পর মশার উপদ্রব থেকে রোগীদের জন্য মশারী কিংবা স্প্রে ছিটানোর নিয়ম থাকলেও সপ্তাহখানিক আগে আসা রোগীরাও কখনও দেখেন নি মশারী কিংবা সন্ধায় স্প্রে ছিটাতে। তবে চিকিৎসকদের সেবাদান এবং দুবেলা রোগীদের খাবার বিতরণে কোন সমস্যা নেই বলে জানান তারা। চিকিৎসকদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই জানিয়ে বার বার অভিযোগের আঙ্গুল নার্সদের দিকে। এযেন পাতিলের চাইতে ঢাকনা গরম।
সরেজমিনে পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, পুরুষ ওয়ার্ডে তিনটি সিলিং ফ্যান বন্ধ সুইস দিলেও সাড়া মিলেনি ফ্যানগুলোর। বেসিনে দুটি করে আয়না আর পানি চলাচলের পাইপ দেখা গেলেও পানির টেপ বা পানির কোন আলামত দেখা যায়নি। ওয়ার্ডের মেঝে ময়লা দাগ, রক্তের দাগও ছিটানো, ময়লা বেডসিটের উপর শুয়ে আছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা। অসহায়ের মত ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে গরমে অতিষ্ঠ রোগীরা, তাদের উপরে ফ্যান ঝুলছে কিন্তু ঘুরছেনা ফ্যান। ৪৬নং সাধারণ কেবিনে গায়ের জ্বরে আক্রান্ত এক রোগী ও তার স্বজনরা জানান আসার তিনদিন পর অনেক বলার পর একটি বেডসিট দিলেও আর দেয়নি তাই বাড়ি থেকেই পরিস্কার বেডসিট নিয়ে আসেন তারা, সকালে ঝাড়ু দিলেও ডেটল বা সেভলনের পানি দিয়ে কখনও মেঝ পরিস্কার, সন্ধায় স্প্রে দেয়নি কখনও বার বার নার্সদের জানালেও উল্টো ধমকী দেয় নার্সরা। এ ব্যাপারে নার্সদের ডিউটি রুমে গিয়ে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি পাঁচজন উপস্থিত নার্সদের কেউ। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি রুমে গিয়ে দায়িত্বরতদের বিষয়টি অবগত করলে তারা উর্ধ্বতনদের সাথে কথা বলতে বলেন প্রতিবেদককে। তবে তারা নার্সদের এহেন আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন তাদের কয়েকজনের কারণে পুরো স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের বদনাম রটে।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইনের মোবাইলে ফোন দিলেও উনি রিসিভ করেন নি।
Discussion about this post