দেশের প্রধান বন্দরের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা বেশ কিছু কন্টেইনার উধাও হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে বুধবার কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্যভর্তি মোট ৫ হাজার কন্টেইনার অবস্থান নিয়ে কাজ শুরু করে কাস্টমস কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম কাস্টমসের বর্তমান কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান যোগদানের পর অতিরিক্ত কমিশনার মো.সফিউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি কাজ করতে গিয়ে দেখে বেশ কিছু কন্টেইনার কাগজে-কলমে বন্দরের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকলেও প্রকৃত পক্ষে নেই।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আইজিএম দাখিল হয়েছে, অ্যাসেসমেন্ট হয়েছে টাকা পরিশোধ হয়নি, অ্যাসেসম্যান্ট ও টাকা পরিশোধ হয়েছে অথচ পণ্য খালাস হয়নি, নিলাম হয়েছে এমন ৫ হাজার কন্টেইনারের অবস্থান নিয়ে কাজ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারণ এসব কন্টেইনারে করে আসা পণ্যে সরকারের বিপুল রাজস্ব জড়িত।
তিনি বলেন, বেশ কিছু কন্টেইনার উধাও হয়ে গেছে বলে ধারণা করছে কমিটির সদস্যরা। এ বিষয়ে বন্দরের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিষয়টি স্বীকার করে বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ করেছে চিঠি দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কোন কোন কন্টেইনার পাওয়া যাচ্ছে না তার সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে আমরা বুধবার চিঠি দিয়েছি।,,