জনতার কলাম=মুুহম্মদ তরিকুল ইসলামঃপঞ্চগড় জেলা সদর উপজেলায় একটি ফসলি জমিতে গত ৫/৬ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে মাটি থেকে বুদবুদ দেখা যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন মাটির নিচে প্রাকৃতিক গ্যাস আছে, আবার কেউ বলছেন তেলের খনি রয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য দূর দূরান্তে থেকে ছুটে আসছেন অনেকে।পূর্বের ন্যায়ই ঘটনাটি আবারো পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম দালালপাড়ার জসিম উদ্দিনের ফসলি জমিতে দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ৫/৬ বছর আগে ওঁই ফসলি জমিতে পানি জমলে প্রথম তাদের নজরে আসে এই পানির কৃতিম বুদবুদ। তারপর থেকে অবিরাম কৃতিম বুদবুদ উঠে চলেছে। তবে শুকনো মৌসুমে জমিতে পানি না থাকায় তা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে পানি জমলেই আবার বোঝা যায়। ওই এলাকার আর কোথাও এমনটি দেখা যায় না। শুধুমাত্র জসীম উদ্দিনের ফসলি জমিটিতেই এই কৃতিম বুদবুদ উঠছে। তাও আবার পুরো জমিতে নয়। তার দুই বিঘা জমির মধ্যে ক্ষেতের আল ঘেঁষে তিন বর্গ হাতের মতো একটি জায়গায় কেবল পানির কৃতিম বুদবুদ উঠছে। শুরুতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা তেমন মাথা না ঘামালেও বছরের পর বছর এমনটি চলে আসায় স্থানীয়দের মাঝে পানির কৃতিম বুদবুদ নিয়ে কৌতুহল বাড়তে থাকে। কেউ কেউ দিয়াশালাই দিয়ে পরীক্ষা করেও দেখছেন। আবার কেউ কিছুটা মাটি খুড়ে বুদবুদের উৎস জানার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা কোন রহস্যই উদঘাটন করতে পারেনি। তাই দিনে দিনে কৌতুহল আরও বাড়ছে। সেই সাথে এই খবর ছড়িয়ে পড়ছে দূরদূরান্তেও। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ওইকৃতিম বুদবুদ দেখতে আসছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাড়িভাসা ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামটি সীমান্তে অবস্থিত।এ গ্রামের জসিম উদ্দিনের ফসলি জমিতেই রহস্যে ঘেরা বুদবুদ উঠছে। কয়েকদিন হলো আমনের রোপা লাগিয়েছেন জসিম উদ্দিন। কিন্তু লোকজন রোপা মাড়িয়েই বুদবুদ উঠা দেখতে আসছেন। মাত্র ৩ বর্গ ফুটের মতো জায়গায় বুদবুদ উঠছে। স্থানীয়রা জানান, আগের চেয়ে বুদবুদ উঠার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। তাদের বিশ^াস নিশ্চয়ই মাটির নিচে গ্যাস কিংবা মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে? তাই এই বুদবুদ নিয়ে তাদের কৌতুহলের সীমা নেই। জসিম উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের জমিতে দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে এইকৃতিম বুদবুদ উঠছে। এটা নিয়ে একেকজন একেক কথা বলছে। কেউ বলছে নিচে গ্যাস আছে, কেউ বলছে তেল আছে, আবার কেউ বলছে সোনা আছে। আসলে কি আছে বা কেন এইকৃতিম বুদবুদ উঠছে তা আমরা জানি না। এ বিষয়ে যদি প্রশাসন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এর কারণ জানাতো তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট হতাম। স্থানীয়রা জানান, আর কোথায় এমনকৃতিম বুদবুদ উঠে না। এখানে পানি জমলেই বুদবুদ উঠে। শুকনো সময় আমরা পানি দিয়ে পরীক্ষা করেছি। তখনো বুদবুদ উঠছে। নিশ্চয়ই এর একটি কারণ আছে। যা আমরা জানি না। এতে ফসলী জমির মালিক জানান, আগে আমরা এই বুদবুদ নিয়ে তেমন গুরুত্ব দিতাম না। এখন দেখি এটি চলছেই। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে দেখার জন্য। জসিম উদ্দিন জানান এইকৃতিম বুদবুদ উঠার আসল রহস্যটা জানতে পারলে শান্তি পেতাম। অন্যদিকে এলাকাবাসী কৃতিম বুদবুদের রহস্য উদঘাটন করতে জেলা প্রশাসক সহ পঞ্চগড়ের সকল দফতরের নিকট দাবি তুলেছে।
Discussion about this post