জনতার কলামঃরউফুল আলম,নীলফামারীঃনীলফামারীতে সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি গোপন রাখায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করায় টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন নির্বাচনী বইতরণী পাড় হতে বেগ ডেট দিয়ে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ দেখানো হয়েছে। নীলফামারী জলঢাকা সরকারী মডেল উচ্চ ব্যিালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আঃ ওয়াহেদ (বাহাদুর) গত ৬/০২/২০১৯ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়ে রিসিপ কপি রাখেন। আর পদত্যাগের বিষয়টি গোপন করে রাখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান। নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ পত্রটির অনুলিপি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের কথা থাকলেও তা তিনি করেন নাই। বরং বিষয়টি গোপন করে রাখেন। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়। জলঢাকা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আঃ ওয়াহেদ (বাহাদুর) ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জলঢাকা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়।
যাচাই বাছাইয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম ওই শিক্ষককে সরকারী চাকুরীজীবী হওয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল করে। পরে ওই শিক্ষক জেলা আপীল কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের কাছে আপিল করে।সেখানেও মনোনয়ন পত্র বাতিল হয় । পরে উচ্চ আদালত আপিল বিভাগে ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে রাইট পিটিশন নং ১৮১১ বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। চিংরি মাছ মার্কা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ দাফিয়ে বেড়ান। ওই পিটিশনকে নৌকা মার্কার প্রার্থী আনছার আলী মিন্টু আপিল বিভাগে চেম্বার জজের ওখানে চ্যালেন্স করে। পরে আপিল বিভাগে ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখের রাইট পিটিশন নং ১৮১১ টি ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। এবং ৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫ম উপজেলা পরিষদ ১০ মার্চ নির্বাচনে জলঢাকা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের ভোট স্থগিত করে।এতেই ওই শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়টি জনসম্মুখে লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।
নৌকা মার্কার নির্বাচনী সদস্য আওয়ামী সৈনিক লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম লিপন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান মোটা অর্থের বিনিময়ে পদত্যাগের বিষয়টি গোপন করেছেন তিনি। তাতে ওই শিক্ষকের নির্বাচনও হবে চাকরীও থাকবে। কিন্তু এলাকায় জানাজানি হলে সেটা আর হবেনা। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি লিখিত ভাবে কাউকে জানাইনি, মৌখিক জানিয়েছি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উচিত ছিলো একটি অনুলিপি জেলা ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের পাঠানো। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জলঢাকা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুজাউদ্দৌলা বলেন, সহকারী শিক্ষক পদত্যাগের বিষয়ে কোন কিছু বলেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আমি শুধু স্কুলের বেতন বিলে সই করি।