বিশেষ প্রতিনিধিঃপ্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে তফশিল অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চ নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো।তবে এই উপজেলা নির্বাচনে শুধু মাত্র চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহন অনিশ্চিতার মুখে পড়েছে নীলফামারী সদর ও জলঢাকা উপজেলায়। আইনী জটিলতার কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনী জটিলতায় ওই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট যদি স্থগিত হয় তাহলে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহনে কোন সমস্যা হবেনা।শুক্রবার (৮ মার্চ) নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজহারুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন নয়নের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিদ মাহমুদ উচ্চ আদালতে সাদিক হোসেন নয়নের প্রার্থীতার বিষয়ে লিভ টু আপিল করায় আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে আদালত।মহামান্য আদালতের এ আদেশ গুলো উল্লেখ করে নির্দেশনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় হতে আমরা যে ভাবে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন জটিলতা নেই।অপরদিকে, জলঢাকা উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম জানান, আইনী জটিলতার কারণে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পায়। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনছার আলী মিন্টু আদালতে লিভ টু আপিল করায় আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদালত। আদালতের আদেশ ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন জটিলতা নেই ।