শেখ সেলিমঃরোহিঙ্গাদের অবস্থা এক বিবেচনায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমস্যাটি ব্যাপক আলোচনায় আসবে। ফলে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। কিছু কিছু চুক্তির কথাও শোনা যায় কয়েক মাস আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিল এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাবে কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি বরং রোহিঙ্গাদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। এক কথায় বাংলাদেশ মিয়ানমারের আলোচনা কোন কাজেই আসেনি কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই তিন নোবেল বিজয়ীর কর্মতৎপরতা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে এতে কোন সন্দেহ নাই। আমার ধারণা এটার প্রতিক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হবে। এই তিন নোবেল বিজয়ীর ঐকান্তিক কর্মতৎপরতার কারণে হঠাৎ মনে পড়ছিল আমাদেরও তো একজন নোবেল বিজয়ী আছে। তিনি জাতির এই মহাসংকটের সময় চুপ কেন? আমার মনে হচ্ছিল এই তিন মহিলার সঙ্গে তিনিও থাকতে পারতেন। এদের সঙ্গে না থাকলেও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডেলে তিনি একাও কিছু ভূমিকা রাখতে পারতেন কিন্তু তার কোন ভূমিকা একেবারেই দৃশ্যমান নয়। বিদেশ থেকে এসে আমাদেরকে বিপদমুক্ত করার জন্য কাজ করছে। আর নিজের দেশের নোবেল বিজয়ী মানুষটিকে তেমন তৎপরতা করতে দেখা যাচ্ছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের সরকার ড. ইউনুসকে পছন্দ করে না ইউনুসও সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কিন্তু জাতির দূর্যোগ মূহুর্তে সকলকেই ক্ষোভ-দুঃখ ভুলে সংকট মোকাবেলার জন্য কাজ করতে হবে। ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক ফোরামে উজ্জল ভাবমূর্তি রয়েছে। বিশেষ করে আমেরিকায় তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এটাকে তিনি নিশ্চয়ই রোহিঙ্গাদের জন্য কাজে লাগাতে পারেন কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোন ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছেন তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের গর্ব। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব। আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি। সমগ্র জাতি তার জন্য গর্ববোধ করে। এই মূহুর্তে আমরা ড. ইউনুসকে এই বিপদের দিন তার প্রভাবকে কাজে লাগানোর অনুরোধ করব। তা না করে তিনি যদি নিরবতা পালন করেন তাতে জাতি বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখবে।কিছু আগে তিনজন বিদেশী নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশে এসেছেন সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখার জন্য।আমার মতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক ফোরামে উজ্জল ভাবমূর্তি রয়েছে তিনি ও যদি এগিয়ে আসেন সমগ্র জাতি তার জন্য গর্ববোধ করবে ।স্বচোক্ষে রোহিঙ্গাদের দূর্দশার চিত্র দেখে তারা আশ্বাস দিয়েছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গাদের দূর্দশার চিত্র তুলে ধরবেন। ইতিমধ্যে তারা রোহিঙ্গা হত্যাকারীদের জোরালোভাবে বিচার দাবি করেছেন। তারা সরাসরি সূ চিকেও দায়ি করেছেন। তাদের কর্ম তৎপরতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা ব্যাপক প্রচার পাবে এবং এই তিনজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অনেক উপকার হবে। এরা বলেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য জোরালো অনুরোধ জানাবেন। মোটকথা সারাবিশ্বে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ার জন্য নোবেল বিজয়ী এই তিন জনের তৎপরতা বড় ধরনের তাৎপর্য বয়ে আনবে। আমার মতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের এখনই সময় এগিয়ে আসার ।
Discussion about this post