৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃ বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফেসবুকের ফেক আইডি দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সুজন বৃহস্প্রতিবার বিকালে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেন=নাং-১২১। জানাগেছে, আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির কবির হোসেনের পুত্র ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুজনের নাম, মোবাইল নাম্বার, ছবি ও ঠিকানা ব্যবহার করে “সুলতানপুর কলেজ ছাত্রলীগ” নামে একটি ফেক আইডি খুলে বিগত ১ মাস থেকে সুজন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সংগ্রহ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।সূত্র জানায় ছাত্রলীগকে বদনাম করার অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র ।এই চক্রটি সুজনকে ও তার পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ঘায়েল করতে এই প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে। তারা ওই ফেক আইডি থেকে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে ও ম্যাসেঞ্জারে অকথ্য অসম্মানজনক লেখা পোষ্ট করছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সবাই বিব্রত বোধ করছেন এবং সুজন নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে বিব্রত। এরআগেও মহলটি সুজনের বড় ভাই সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী নওশের আলম সুমনসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অপ্রপ্রচার চালিয়েছিলো। এই নিয়ে ওই সময় পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে তারা ফেক ফেসবুক আইডিগুলো বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা জানায়, বাহাদুরপুর এলাকার শফি উল্যাহ্ ভূঁইয়ার নাতিদের কখনো কোন উশৃংখল আচরন দেখিনি আমরা। কেউ কোন খারাপ কাজেও জড়িত নয়। তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া যায়না। এলাকাবাসী এসব ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। এ ব্যাপারে আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুজন জানান, বর্তমানেও তারা বিভিন্ন ভাবে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে ষড়যন্ত্রেলিপ্ত রয়েছে। এই চক্রটি ভবিষ্যতেও আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সুজনের জিডিটি এস.আই জাহাঙ্গীরকে তদন্তের দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।আমরা মুল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।