শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থায়ীভাবে বাতিলের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুলাই) চেম্বার সভাপতি মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ অনুরোধ জানান।
চেম্বারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঈদ-উল-ফিতরের সময় চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্থগিত রাখায় এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাও জানান চেম্বার সভাপতি।
চিঠিতে মাহবুবুল আলম বলেন, রমজানের পর আবার ২ (দুই) এক্সেল (৬ চাকা) বিশিষ্ট মোটরযানের মাধ্যমে মাত্র ১৩ টন ওজন নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলে শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ব্যয় কেজি প্রতি ৩-৪টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশের অন্য কোনো মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও চেম্বার সভাপতি মনে করেন।
মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তা ছাড়া বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ এসব পদক্ষেপের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, লং, এলাচি, দারুচিনি, ধনিয়া ইত্যাদি মসলা জাতীয় পণ্য ব্যাপক হারে আমদানি করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হবে।
এ প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় লাঘব করে পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ২ (দুই) এক্সেলবিশিষ্ট মোটরযানে ১৩ টন ওজন পরিবহনের বাধ্যবাধকতা স্থায়ীভাবে বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।