রউফুল আলমঃ জলঢাকায় একটি ল্যাবে ৩৫০ টাকার টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে ভেলকিবাজি স্বীকার হয়েছে এক রোগী।
ভুক্তভোগী রোগী অভিযোগে জানায়,২১ এপ্রিল ল্যাবে বাওক্যামেষ্ট্রি পরীক্ষা করাতে যায় ২৭ বছর বয়সের মুশফিক। সে প্রথমে রশীদ কাটতে ল্যাব কাউন্টারে যায়। সেখান কর্তব্যরত এক নারী তাদের জানায় এ টেস্ট করাতে চাইলে ৩৫০ টাকা লাগবে। রোগীর পক্ষ থেকে বলা হয় একটু কম নেন। জবাবে নারীটি বলেন,দেন,৩০০ টাকা দেন।রোগী ৩০০ টাকা বের করে দিয়ে রশীদ নেন।এরপর রোগীকে টেস্ট করাতে এক কক্ষে যেতে বলা হয়। এসময় সুযোগ বুঝে ওই নারী রশীদ ছিড়ে নতুন করে রশীদের তৈরী করে নেয়। ভেলকিবাজি সূত্রে ধরে,সে (নারী) অফিস রশীদ মূল্যের স্থানে লিখে ৩০০ টাকা লেজ করে ১০০ টাকা জমা করে ২০০ টাকা। রোগীর রশীদে ৩৫০ টাকা লেখে ৫০ লেজ করে ৩০০ টাকা বুঝে নেয়। এরপর পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট হাতে নেয় রোগী। ফলাফলে দেখা যায়,রোগীর তেমন কোন সমস্যা নয়। নিয়মিত ঔষধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত রিপোর্টে দেখা যায়,রোগীর নাম মুশফিক।বয়স ২৭ বছর। সেক্স এর স্থানে লেখা আছে ফেমেল।যার অর্থ দাড়ায় লিঙ্গ মহিলা। রোগীর প্রশ্ন? আমি তো পুরুষ। কিন্তু ডাক্তার কীভাবে এত বড় ভুল করলো? তাহলে আমার টেস্ট আর কী হবে?
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোগী বলেন, ল্যাবের কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা নারীটি আমাদের সাথে ভেলকিবাজি করেছে।এবং ডাক্তার রিপোর্ট ভালো করে না দেখে কেন স্বাক্ষর করলো? ল্যাবের লোকজন আমার সাথে এ রকম করতে পেরেছে তাহলে অন্য রোগীদের সাথেও একই রকম করেছে? আমরা সাধারন রোগীরা কোথায় গেলে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাবো?পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে ল্যাবে কী তারা ব্যবসা শুরু করেছে?
কর্তব্যরত নারীর বক্তব্য নিতে ল্যাবে গেলে তার দেখা পাওয়া যায় নি। বরং ল্যাবের এক ব্যক্তি প্রভাব দেখিয়ে এড়িয়ে যায়।
ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমি তো জানি না। বিষয়টা আমি দেখতেছি।