পাগলীটি মা হয়েছে, বাবা হয়নি কেউ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার । চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। হঠাৎ চিৎকার মেয়েলী কন্ঠ সাথে শিশু বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পেল গ্রাম্য রাস্তায় মনের সুখে হেটে চলা চার বন্ধু। ছুটে গেলেন, গিয়ে দেখেন এক মহিলা বাচ্চা প্রসব করেছেন।
মহিলাটি কান্না করছেন, তার আচরণ, কথাবার্তা ভারসাম্যহীন। মেয়ে শিশুটি জন্ম নিয়েছে রাস্তায় পাশে এক বালির মাঠে, প্রসব বেদনায় চিৎকার করছেন পাগলী।
এলাকায় তার নাম সালমা পাগলী। পরে চার বন্ধু দেখতে পান নবাগত বাচ্চাটির চোখে মুখে বালি লেগে আছে। বেঁচে আছে কিনা বোঝা যাচ্ছিল না।
সামাজিক মাধ্যমে এই চার বন্ধুর মধ্যে অমির দেয়া স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, শিশুটির নাড়ি লেগে আছে পাগলীর নাড়িতে, সারা গাঁ রক্ত আর বালিতে একাকার হয়ে পড়ে রয়েছে।
প্রসবের পর ব্যথায় চিৎকার করছেন। তখন তারা আশপাশের কিছু মহিলার সহায়তা কামনা করেন। কিন্তু মহিলাদের অনেকে এসে জড়ো হলেও কেউ পাগলী বলে তার শিশুটির নাড়ি কাটতে রাজি হচ্ছিলেন না।
পরে উপায় না দেখে চার বন্ধু মিলে দ্রুত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মা ও নবজাতককে। পরে তারা সকলের সহযোগিতা চান সামাজিক মাধ্যমে। এতে অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
চার বন্ধু হলেন অমি, সাগর, ইব্রাহীম, আজিজ। মাদারীপুরের এ ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে।
মেয়েটির সুন্দর একটি নাম রাখা হয়েছে। জান্নাতুল হাবিবা হুমাইরা।
হুমাইরার বাবা কে তা হয়তো কখনো জানা যাবে না কিন্তু একদিন সে জানবে তার অচেনা মামারা তাকে বাঁচিয়েছিল, তার মাকে দিয়েছিল নতুন এক পৃথিবী।
এমন একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পাগলী ও তার সন্তান দুজনই এখন সুস্থ আছেন। কেউ গেলেই পাগলী খুশিতে বারবার বলছেন- দেখো তোমার মামারা এসেছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মো আবু জাফর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ২০ তারিখ রাতে কয়েকজন লোক নবজাতক শিশু ও মাকে নিয়ে আসেন। তারা এখন সুস্থ আছেন। আমাদের এ সভ্য সমাজে আজও সালমার মত হাজারো ভারসাম্যহীন পাগলীরা মা হয় বাবা হয়নি কেউ।এ,এম,ইদ্রিস খান ফেসবুক ওয়াল
Discussion about this post